কলোরাডোয় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, দুই মেয়ে নিখোঁজ, বাবা গ্রেপ্তার
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, দুই মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের এক বাবাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বাবার নাম ক্রিস ওয়াটস (৩৩)। গ্রেপ্তারের পর প্রথমবারের মতো তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ক্রিস তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
গত সোমবার থেকে ১৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা শ্যানান ওয়াটস (৩৪) নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময় থেকে নিখোঁজ রয়েছে তাঁদের দুই মেয়ে চেলেস্টে (৩) ও বেলা (৪)।
এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে ক্রিস ওয়াটসের বিরুদ্ধে হত্যা ও এর প্রমাণ লুকানোর অভিযোগ আনা হতে পারে। কলোরাডোর ওয়েল্ড কাউন্টির কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিচারক মার্সেলো কপকাও আইনজীবীদের আগামী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনতে বলেন এবং মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন।
কলোরাডো তদন্ত ব্যুরোর পরিচালক জন ক্যাম্পার বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা একটি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছি। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত এটা শ্যানানের।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমরা বেশ ভালোভাবেই জানতে পেরেছি শিশুদের মৃতদেহগুলো কোথায় আছে এবং আমরা সেগুলো উদ্ধারে কাজ করছি।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, আনাডারকো পেট্রোলিয়াম কোম্পানির প্রাঙ্গণে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ডেনভার পোস্ট জানায়, এই কোম্পানিতেই কাজ করেছেন ক্রিস।
কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকেও (এফবিআই) ডাকা হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যাতে সহজেই শনাক্ত করা যায়।
শ্যানানের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু পুলিশকে জানান, তিনি ফোন ধরছেন না। এর পর থেকে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
ফেসবুকে শ্যানানের এক বন্ধু লিখেন, হঠাৎ করে তিনি উধাও হয়ে গেলেন।
এ ব্যাপারে ক্রিস ওয়াটস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি চান সবাই তার বাড়িতে আসুক। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি শিশুদের সঙ্গে এ মুহূর্তে কোথাও সুস্থ আছে সে।’
গত বুধবার পুলিশ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় যে, ক্রিস ওয়াটসকে গ্রেপ্তার করে ওয়েল্ড কাউন্টি কারাগারে রাখা হয়েছে।
শহরের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘এফবিআই ও কলোরাডো তদন্ত ব্যুরোর সহযোগিতায় ফ্রেডেরিক পুলিশ বিভাগ নিখোঁজ ব্যক্তির ঘটনায় (ক্রিস ওয়াটসকে) গ্রেপ্তার করেছে।’ এতে আরো বলা হয়, ‘শ্যানানের স্বামী ক্রিস ওয়াটসকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে।’