বিরোধী দলহীন ভোটে কম্বোডিয়ায় ক্ষমতাসীনদের জয়
বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) দেশটির সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করেছে। আজ শনিবার প্রকাশিত ফলাফল থেকে তথ্য এ জানা যায় বলে জানায় সিনহুয়া।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেস্কিউ পার্টি (সিএনআরপি)। গত ২৯ জুলাই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
৬৭ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী স্যামদেক টেকো হুনসেনের দল এ নির্বাচনে জয়লাভ করায় তিনি আরো পাঁচ বছর সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। ১৯৮৫ সাল থেকে অর্থাৎ ৩৩ বছর ধরে তিনি দেশটির ক্ষমতায় রয়েছেন।
জাতীয় নির্বাচন কমিটির (এনইসি) অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে বলা হয়, এ নির্বাচনে মোট ২০টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে সিপিপি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার বা ৭৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
প্রিন্স নরোদম রনারিদের ফান্সিপেক পার্টি তিন লাখ ৭৪ হাজার ৬১০ ভোট বা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বিরোধী দলের সাবেক আইনপ্রনেতা খেম ভিসনার লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৬৪ ভোট বা ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং বিরোধীদলের সাবেক সদস্য কং মোনিকার খেমার উইল পার্টি ২ লাখ ১২ হাজার ৬৬৯ ভোট বা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
এনইসি জানায়, পার্লামেন্টে আসন বন্টনের মধ্যদিয়ে আগামী ১৫ আগস্ট এ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নতুন পার্লামেন্ট গঠন করা হবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নতুন সরকার গঠনের নতুন পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে।
গত বছর স্থানীয় নির্বাচনে সিপিপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট পায় সিএনআরপি। অভিযোগ রয়েছে, পরে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করায় দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে প্রভাবিত করে সিএনআরপিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে হুন সেন সরকার। সমালোচকরা সিএনআরপিকে জাতীয় নির্বাচনে শামিল হতে না দেওয়ার এ ঘটনায় হুন সেন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে একই প্রশ্ন করেছে। কিন্তু অন্য আরো ১৯টি দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সিপিপি একে যথার্থ দাবি করেছে।
সাধারণ এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বাইরে নির্বাসনে থাকা সিএনআরপির নেতা স্যাম রেনসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিপিপির উদ্দেশে করা এক পোস্টে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া কোনো বিজয় আসলে ফাঁপা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে অনুষ্ঠিত এই মিথ্যা নির্বাচনের ফলাফল মূলত জনগণের চাওয়ার বিরুদ্ধে এক বিশ্বাসঘাতকতা।’