ভারতে ‘জেএমবির শীর্ষ নেতা’ আটক
ভারতে দুই এলাকায় বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সংস্থাটির দাবি জাহিদুল বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা।
ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে আটক করা হয় জাহিদুলকে। দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গতকাল সোমবার আটক করা হয় জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে বোমারু মিজান ওরফে মুন্না ওরফে কাওসারকে।
এনআইএ জানিয়েছে, জাহিদুল ওরফে কাওসার ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি বিহারের বুদ্ধগয়াতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত।
জানা যায়, সম্প্রতি জাহিদুল ওরফে কাওসারের দুই সহযোগী আটক হওয়ার পরই তার খোঁজ পাওয়া যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে গত ৩ আগস্ট আবদুল করিম ওরফে ছোটা ও মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে শাহীনকে আটক করে এনআইএ। আটকদের মধ্যে করিম মুর্শিদাবাদের এবং শাহীন বীরভূমের বাসিন্দা।
নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে থাকেন জাহিদুল ওরফে কাওসার। কয়েকদিন আগে বেঙ্গালুরু গিয়ে সেখানে আত্মগোপনের চেষ্টা করেন তিনি। এদিকে জাহিদুল ওরফে কাওসারের খোঁজে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে চলছিল এনআইএর গোয়েন্দারা। সম্প্রতি জাহিদুল ওরফে কাওসার বেঙ্গালুরুতে আছে বলে জানতে পারে এনআইএ। এর পরই ফাঁদ পেতে তাঁকে আটক করা হয়। জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় জাহিদুল ওরফে কাওসারের একটি বাড়িও আছে। সেখানে থেকেই তিনি সংগঠন চালাতেন।
পশ্চিমবঙ্গে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জেএমবির যোগসূত্র জানতে পেরেই কলকাতা পুলিশের বিশেষ ট্যাক্সফোর্স মাঠে নামে। যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও। ওই সময় জাহিদুল ওরফে কাওসারের খোঁজে বাংলাদেশে ব্যাপক তল্লাশি চলে। এনআইএর তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই সময়ে সীমান্ত টপকে ভারতে চলে আসেন জাহিদুল ওরফে কাওসার। এরপর ভারতের মাটিতে দুই দুইবার এনআইএর হাত ফসকে পালিয়ে যান তিনি। তার পরই তাঁকে ধরতে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন এনআইএর কর্মকর্তারা।
জানা যায়, নিজের নাম বারবার বদলে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন জাহিদুল ওরফে কাওসার। তাঁর হদিস পেতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে এনআইএ।