লাল গোলাপের পিরামিড
ইকুয়েডরে পাঁচ লাখের অধিক সংখ্যক লাল গোলাপ দিয়ে বিশাল এক পিরামিড তৈরি করেছে টাবাকুন্ডো শহরের অধিবাসীরা। এটাই ফুল দিয়ে তৈরি এযাবৎকালের সবচেয়ে বৃহৎ কাঠামো, যা এরই মাঝে গিনেস বিশ্বরেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে।
মেক্সিকোভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এল ইউনিভার্সাল জানায়, ফুল দিয়ে বানানো বিশাল ওই পিরামিড ইকুয়েডরের উত্তরে পেদ্রো মোনকায়ো প্রদেশে ইনকা সভ্যতারও আগে নির্মিত কোচাস্কি প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকার পিরামিডগুলোর আদলে তৈরি করা হয়।
শহরের মূল চত্বরে বানানো পিরামিডটির প্রায় সব ফুলই লাল গোলাপ। শুধু পিরামিডের উজ্জ্বলতা আর কিনারাগুলো আলাদা করতে ৬ শতাংশ সাদা, হলুদ আর পিংক রঙের গোলাপ ব্যবহার করা হয়। এতে সর্বমোট ফুলের সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৪টি।
প্রায় এক হাজার পাঁচশ লোক সপ্তাহব্যাপী গড়ে ১৬ ঘণ্টা করে শ্রম দিয়ে এক হাজার একশ বর্গমিটারের এ পিরামিড তৈরি করেন বলে জানা যায়।
আয়োজকদের অন্যতম রোজা সিজনেরজ বলেন, আসলে এ শহর ‘দেখাতে চেয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর গোলাপ কোথা থেকে আসে’।
নিঃসন্দেহে এর পর থেকে ইকুয়েডরে যাওয়া যেকোনো পর্যটকের কাছে এই গোলাপ পিরামিডের শহর অন্যতম সেরা আকর্ষণের জায়গা বলে বিবেচিত হবে। গিনেস বিশ্বরেকর্ডে জায়গা নেওয়া এ পিরামিড ইকুয়েডরের অনন্য আর গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতীক হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।
নেদারল্যান্ডস আর কলম্বিয়ার পরে ইকুয়েডর হলো পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ফুল রপ্তানিকারক দেশ। নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে রপ্তানি বা পর্যটন শিল্পের ব্যাপারে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য লাল গোলাপের পিরামিড বানানো এক অভিনব ধারণা।