ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকপঞ্জি আনবে বিজেপি
বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে রাজ্য থেকে শরণার্থীদের বিতাড়ন করতে নাগরিকপঞ্জি আনবে। গতকাল মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি নেতা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এক কোটির বেশি অবৈধ নাগরিক রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এসেছে বাংলাদেশ থেকে। ওই সব অবৈধ নাগরিকের কারণে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির হাল খারাপ হচ্ছে।’
দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, ‘এমনকি পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করা অবৈধ নাগরিকরা আজ রাজনীতির আঙিনায়ও ঢুকে পড়েছে। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। যারাই ভারতের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করবে, তাদের সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। তা সে সিপিএমের নেতা হোক বা তৃণমূলের নেতা হোক। কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতির এ মন্তব্য ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে।
এ সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনার দলের নেতারা বলবে, আসামের পর পশ্চিমবঙ্গ, তারপর বিহার, মহারাষ্ট্র, গুজরাটেও নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করতে হবে। আর সেটা হলে তো ভারতে গৃহযুদ্ধ বেধে যাবে।’
মমতা সরাসরি রাজনাথ সিংয়ের কাছে জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের কোনো ভাবনা-চিন্তা কেন্দ্রের রয়েছে কি না?
প্রত্যুত্তরে রাজনাথ জানান, আসামে নাগরিকপঞ্জির খসড়া পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ২০০৫ সালের ত্রিপক্ষীয় আসাম চুক্তি অনুযায়ী হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হবে কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি রাজনাথ।
তবে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেখানেও নাগরিকপঞ্জি করা হবে।