বিচার ছাড়াই অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন করতে চান ট্রাম্প
কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া বা বিচার ছাড়াই অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের ঘোষণা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা এই মানুষদের আমাদের দেশে আক্রমণ করতে দিতে পারি না। যখন কেউ আসে (অবৈধ অনুপ্রবেশ) আমাদের অতিদ্রুত কোনো আইনি বা আদালত প্রক্রিয়া ছাড়াই, তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যেখান থেকে তারা এসেছে। অভিবাসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বিচার প্রক্রিয়া খুবই হাস্যকর। অধিকাংশ শিশু তাদের বাবা-মা ছাড়াই এসেছে।’
ট্রাম্প আরো লিখেন, ‘আমাদের অভিবাসন প্রক্রিয়া সারা পৃথিবীকে উপহাস করছে। যাঁরা এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বৈধভাবে গেছেন এবং যাঁরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন, তাঁদের জন্য এটি খুবই অন্যায্য। অভিবাসন অবশ্যই মেধাভিত্তিক হওয়া উচিত। আমাদের তাঁদেরই প্রয়োজন, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকবার সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।’
অভিবাসী বাবা-মায়েদের কাছ থেকে তাদের সন্তানদের আলাদা করার সিদ্ধান্তের ফলে গত দুই মাস মে ও জুনে প্রায় দুই হাজার ৩০০ শিশুকে তাদের বাবা-মায়েদের কাছ থেকে আলাদা করা হয়।
কিন্তু দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনা ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখে এই নীতি বাতিল করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর এই সিদ্ধান্তের কয়ে কদিন পরেই গতকাল ট্রাম্প এই মন্তব্য করলেন।
গত মে মাসে যাঁরা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের ভেতরে ঢুকেছেন, তাঁদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীল) নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে তাদের সবাইকেই ফৌজদারি অপরাধে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়।
টুইটারে এ ধরনের কঠোর মন্তব্যের জন্য ট্রাম্প অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন। এমনকি তাঁর নিজ দল রিপাবলিকান পার্টিও এ জন্য তাঁর সমালোচনা করে।
ট্রাম্পের টুইটের জবাবে রিপাবলিকান কংগ্রেস নেত্রী ইলিয়ানা রোজ লেহটিনেন এক পাল্টা টুইট করেন। তিনি লিখেন, ‘তাঁর (ট্রাম্প) এই ভিত্তিহীন, বেমানান মন্তব্য, তাঁদের জন্য খুবই অমানবিক, যাঁরা একটু ভালো জীবন খুঁজছেন।’