ইন্দোনেশিয়ায় জঙ্গি হামলার দায়ে ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড
জঙ্গি হামলার দায়ে ইন্দোনেশিয়ার এক ধর্মীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। ২০১৬ সালে দেশটির রাজধানী জাকার্তায় ওই হামলায় চারজনের মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার এই আদেশ দেওয়া হয়।
বিবিসি বলছে, ওই ধর্মীয় নেতার নাম আমান আবু রাহমান। তিনি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) সমর্থনের ঘোষণা দেন। ইন্দোনেশিয়ায় ওই হামলাটিকে আইএস তাদের প্রথম হামলা বলে দাবি করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৬ বছর বয়সি আবু রাহমান ২০১০ সাল থেকেই কারাগারে রয়েছেন। আর সেখান থেকেই তিনি এই হামলার পরিকল্পনা করেন। ওই হামলাটি দেশটির রাজধানীর কয়েকটি স্থানে করা হয়। পুলিশের নিরাপত্তা চৌকিতেও হামলা চালানো হয়। বন্দুকধারীরা সেখানে গুলি চালান। এরপর পুলিশের সঙ্গে তাঁদের গোলাগুলি হয়। এ সময় দুই হামলাকারী গুলিতে নিহত হন। আর দুইজন আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান।
আদেশের সময় বিচারক বলেন, ‘আবু রাহমান জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন।’
এদিকে আবু রাহমান বলেছেন, ‘সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমার অনুসারীদের উদ্বুদ্ধ করেছি। এছাড়া আমি ইন্দোনেশিয়ায় কোনো হামলা করার নির্দেশ দেইনি।’
ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক দল জামাহ আনসারুত দাউলাহর (জেএডি) আধ্যাত্মিক নেতা আবু রাহমান। এই দলটির সঙ্গে আইএসের জড়িত থাকার কথা জানা যায়। আর আবু রাহমানকে দেশটিতে আইএসের প্রধান মনে করা হয়।
চলতি মাস জুনে একটি সিরিজ আত্মঘাতী হামলা চালানো হয় জাভার সুরাবায়ার চার্চে ও পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে। এই হামলায় তিনটি চার্চে ১১ জন নিহত হয়েছেন। ২০০৫ সালের বালিতে হামলার পর থেকেই এটি সব থেকে বড় হামলা। সেই সময় হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন। চার্চগুলোতে হামলা চালায় এক পরিবারের ছয় সদস্য। এদের মধ্যে নয় ও ১২ বছরের দুই মেয়ে ছিল।