সন্তানদের নিয়ে দম্পতির আত্মঘাতী হামলা?
ইন্দোনেশিয়ায় তিন গির্জায় হামলাকারীরা একই পরিবারের সদস্য। এক দম্পতি তাঁদের চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে ওই আত্মঘাতী হামলাগুলো ঘটায়। আজ রোববার সকালে জাভা দ্বীপের সুরাবায়া শহরে ওই ঘটনা ঘটে।
দেশটির পুলিশ এ তথ্য দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ প্রধান টিটো কারনাভিয়ান জানান, একটি পরিবারের সদস্যরা মিলে তিনটি গির্জায় হামলাগুলো করে। হামলাকারীদের তিনজনই শিশু!
পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, আইএসের কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে পরিবারটি। এদিকে আইএসও এর দায় স্বীকার করে নিয়েছে।
পুলিশ জানায়, পরিবারটির মা তাঁর দুই কন্যা শিশু নিয়ে একটি গির্জায় হামলা চালায়। মেয়েদের একজনের বয়স ৯, অন্যজনের বয়স ১২। শরীরে বোমা বেঁধে গির্জায় গিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেয় তারা।
ওই পরিবারের বাবা একটি গাড়ি নিয়ে যায় অন্য গির্জায়। গাড়িতেই ছিল বোমা। আর দুই ছেলে গির্জায় যায় মোটর সাইকেলে করে। দুই ছেলের একজনের বয়স ১৬ ও অন্যজনের ১৮ বছর।
প্রথম হামলা হয় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। ওই গির্জার নাম সান্তা মারিয়া। পুলিশ জানায় ওই গির্জায় হামলাকারীরা যায় মোটর সাইকেলে। অন্য গির্জায় হামলাকারী নারী ছিল বোরকা পরা।
তবে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, আরো গির্জায় হামলা করার পরিকল্পনা নষ্ট করে দিয়েছে পুলিশ।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োকা উইদোদো ঘটনাস্থলগুলোতে যান। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহ্বান জানান। পুলিশকে হামলাকারীদের নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। পর্যটনের জন্য খ্যাত ওই দ্বীপে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। যাদের অধিকাংশই ছিলেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটক।
২০০৫ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে বোমা হামলায় নিহত হয় ২২ জন। এর ছয়মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বালি দ্বীপে বোমা হামলায় নিহত হয় ২০ জন।