নারী নির্যাতনের অভিযোগ, নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্নাইডারম্যান পদত্যাগ করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, চারজন নারীর করা নির্যাতনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এরিকের এই পদত্যাগ। দ্য নিউইয়র্কারকে ম্যাগাজিনে এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই পদত্যাগ করলেন এরিক। ওই প্রতিবেদনে এরিক স্নাইডারের বিরুদ্ধে চার নারীকে মারধরের অভিযোগ করা হয়।
এই চার নারীর মধ্যে দুজন এরিকের সাবেক প্রেমিকা বলে নিজেদের দাবি করেছেন। তাঁরা হলেন মিশেল ম্যানিং এবং টানায়া সেলভারাতনাম। দ্য নিউইয়র্কারকে তাঁরা বলেন, প্রায়ই তাঁদের মারধর করতেন এরিক। বিশেষ করে প্রচুর পরিমাণে মদ্যপানের পরে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক। যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
গতকাল সোমবার সকালে দেওয়া প্রাথমিক বক্তব্যে এরিক স্নাইডারম্যান বলেন, ‘দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে আমি অপরজনের সম্মতি নিয়েই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলাম। আমি কাউকে মারধর করিনি। আমি কখনই অসম্মতিক্রমে কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করিনি। সম্পর্কের মধ্যে একটি সীমারেখা থাকে, যেটা আমি কখনই অতিক্রম করিনি।’
এসব অভিযোগ তাঁর পেশাগত জায়গা বা কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও এসব নিয়ে আলোচনা চলার সময়ে তাঁর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে মনে করেন এরিক। আর তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তিনি।
এ পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রিউ কিউমো অ্যাটর্নি এরিককে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমি মনে করি, এ পরিস্থিতিতে এরিক স্নাইডারম্যানের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।’
এরিকের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের তদন্ত করতে একজন আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন গভর্নর।