অস্ট্রেলিয়ায় অর্থনীতি পুনর্গঠন জরুরি
অস্ট্রেলিয়া আগামী এক দশকে অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে পারে। এই সময়ে মানুষের আয় বাড়লেও তা আশানুরূপ হবে না। তাই অস্ট্রেলিয়ায় করসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। অস্ট্রেলিয়ার দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘অস্ট্রেলিয়ান ফাইন্যানশিয়াল রিভিউ’ ও ‘দি অস্ট্রেলিয়ান’ ওই সম্মেলন আয়োজন করে। দেশটির শতাধিক ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অর্থনীতিবিদ এতে অংশ নেন।
সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কোষাগার প্রধান মার্টিন পারকিনসন বলেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী এক দশকেই অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির ৫ শতাংশ পড়ে যাবে, যা মন্দাবস্থার সৃষ্টি করবে।
মার্টিন পারকিনসন আরো বলেন, ‘আমরা যদি এখনো সমস্যার শিং না ধরি এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এর সমাধান না করি তবে ঘুমের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতেই বড় ঝামেলায় পড়বে দেশ।’
সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ জেন ডিক্সন বলেন, কোষাগারের আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে ভবিষ্যতের যে সুন্দর চিত্র দেখানো হয়েছে তা বাস্তবে পুরোপুরি ভিন্ন। প্রতিবেদনে বছরে মানুষের আয় বৃদ্ধি ১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে দেখানো হয়েছে অর্থাৎ ২০৫৫ সালে অস্ট্রেলীয়দের আয় ৭৫ শতাংশ বাড়বে। জেন ডিক্সনের মতে, অস্ট্রেলিয়ার মানুষের আয় বৃদ্ধি বছরে ১ শতাংশেরও কম। তাই ২০৫৫ সালে অস্ট্রেলীদের আয় বাড়বে ৪৪ শতাংশ।
জেন ডিক্সন বলেন, কোষাগারের হিসাব অনুযায়ী মানুষের আয় ৭৫ শতাংশ বাড়তে ২০৫৫ সালের পর আরো ২০ বছর লাগবে। ১৯৯০ সালে অর্থনীতি পুনর্গঠনের কারণে এতদিন আয়বৃদ্ধির হার বেশ ভালোই ছিল। এমনটি ধরে রাখতে হলে নতুন করে অর্থনীতির পুনর্গঠন প্রয়োজন।