আত্মহত্যার আগে যা বলে গেলেন বোমা হামলাকারী
নিজেরই তৈরি করা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে টানা পাঁচটি বোমা হামলাকারী তরুণ মার্ক কনডিট (২৩)। গত বুধবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার মুখে টেক্সাসের অস্টিনে তিনি এই বিস্ফোরণ ঘটান।
তবে মৃত্যুর আগে ২৫ মিনিটের একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ধারণ করে যান কনডিট। কিন্তু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কনডিট বলেছেন, ‘অনুতপ্ত হলে ভালো হতো, কিন্তু আমি একেবারেই অনুতপ্ত নই।’ বোমা বিস্ফোরণের পেছনে তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল, সে সম্পর্কে ভিডিওটি থেকে কিছু জানা যায়নি। কেননা, ভিডিওতে কনডিট সন্ত্রাসবাদ বা হিংসাত্মক কোনো কিছু বলেননি; বরং নিজেকে মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
অস্টিন শহরের পুলিশপ্রধান ব্রায়ান ম্যানলি বলেন, ‘তিনি কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদ বা হিংসাত্মক কোনো কথা বলেননি; বরং এটা বিকারগ্রস্ত এক তরুণের আর্তনাদ ছিল। যেখানে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা সমস্যা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন।’
ম্যানলি বলেন, ‘আমি ভিডিওটিকে স্বীকারোক্তি বলব।’ বাড়ি এবং ভিডিওটি থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে, আর কোনো বোমা বানানো নেই। এবং মানুষ এখন নিরাপদ।
তবে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কনডিটের মোবাইল ফোনটি থেকেই ভবিষ্যতে বোমা বিস্ফোরণের একটি তালিকা পায় পুলিশ।
ম্যানলির বক্তব্য অনুসারে, কনডিট মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ভিডিওটি ধারণ করেছিল। পুলিশ তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল বলেই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। আর আসলেই পুলিশ তার খোঁজ পেয়ে গিয়েছিল।
বুধবার সকালে কনডিট একটা হোটেলের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁকে অনুসরণ করছিল পুলিশ। কিন্তু সশস্ত্রসহ বাহিনীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। বড় রাস্তায় যাওয়ার আগেই তাঁকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল পুলিশ গাড়ি তল্লাশির কথা বলে। কিন্তু তার আগেই নিজের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান কনডিট।
এদিকে, কনডিটের দুই কক্ষসঙ্গীকে গতকাল মুক্তি দিয়েছে পুলিশ। তাঁদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও তারা জানায়।
তবে কনডিটের মতো বেকার তরুণ, যে কলেজ পাস করেননি, তিনি কীভাবে বোমা তৈরি করলেন, সে বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারী দল।
ট্রাভিস কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মার্গারেট মুর বলেন, ‘এই ঘটনাকে কখনই একটা ভালো সমাপ্তি বলা যাবে না। তবে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মানুষের জন্য এটা অবশ্যই ভালো হয়েছে।’