সিরিয়ায় যুদ্ধবিমান পাঠানোর ইঙ্গিত অস্ট্রেলিয়ার
সিরিয়ার যুদ্ধবিমান পাঠানোর পরিকল্পনার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিয়ায় বিমান হামলার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তিকে সমর্থন করে এর পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ। এর আগে নৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় যুক্ত হওয়া থেকে বিরত ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে বর্তমানে যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরো সময় লাগবে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ বলেন, কিছুদিন পূর্বে জাতিসংঘের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলার ব্যাপারে ‘আইনগত ভিত্তি’ তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশপ আরো বলেন, ইরাক সরকারের আমন্ত্রণ ও অনুমোদনেই আন্তর্জাতিক জোট দেশটিতে গেছে। আর ইরাক ও এর জনগণের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থেই ওই জোট সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। আর ইরাক ও সিরিয়ায় এখন কোনো সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।
তবে জুলি বিশপ এ কথাও জানান, বিমান হামলায় যুক্ত হওয়ার আগে ‘অবশ্যই’ অস্ট্রেলিয়া সরকার এর নীতিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে সিরিয়ায় বিমান হামলার পক্ষে তাদের শক্ত আইনি ভিত্তি আছে। তবে আইনি বিষয় এখানে কিছুটা ভিন্ন। আর অবশ্যই ইরাক সরকারের অনুরোধেই সেখানে যাওয়া হচ্ছে।
আইএসকে ‘দাম্ভিক অশুভ’ আখ্যা দিয়ে টনি অ্যাবট বলেন, কম্বোডিয়ায় পলপট আর জার্মানিতে হিটলার গণহত্যা চালিয়েছিল। স্বৈরশাসকরা এই গণহত্যা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আইএস প্রতিদিনই অনলাইনে তাদের গণহত্যার চিত্র প্রকাশ করে।
আজ রোববার টনি অ্যাবট আরেকবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া আর বেশি দূরে নয়। তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ বা এর পর কিছু সময় যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করব। পরে এই বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।’
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সরকার জানায়, সিরিয়া অভিযানে যুক্ত হতে তাদের আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এবিসি অস্ট্রেলিয়া জানায়, শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট সিরিয়া অভিযানে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন। ওই সময় তিনি বলেন, ‘তারা (আইএস) যেহেতু ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যকার সীমান্ত মানছে না আমরা কেন মানব।’
চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধটি বিরোধী দলের কাছে তুলে ধরার কথা।