বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর মেলবোর্ন
পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর নির্বাচিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। সংবাদমাধ্যম ইকোনমিস্টের সমীক্ষা শাখা ‘ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’-এর বিশ্বের ১৪০ শহরের তালিকায় মেলবোর্ন শহর এই বছরও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। আর বাংলাদেশের ঢাকার অবস্থান তালিকার উল্টো দিক থেকে দ্বিতীয়।
মেলবোর্ন পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর নির্বাচিত হওয়ায় অবাক নন এর অধিবাসীরা। কারণ নাগরিক সুবিধার বিষয়টি তাঁদের কাছেই স্পষ্ট। আর অপরাধের নিম্নহার এই শহরকে এগিয়ে রেখেছে।
শহরে নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা, আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে ইকোনমিস্টের বাসযোগ্য শহরের তালিকা করা হয়। এ বছর তালিকার শীর্ষে থাকা শহরগুলো হলো। শীর্ষ বাসযোগ্য শহর হিসেবে মেলবোর্ন পেয়েছে ৯৭.৫ নম্বর। আর এর নিকটবর্তী ভিয়েনা পেয়েছে ৯৭.৪। এর পরই আছে কানাডার দুই শহর ভ্যাঙ্কুভার (৯৭.৩) ও টরেন্টো (৯৭.২)।
ইকোনমিস্টের তালিকায় সেরা ১০-এর মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়ার মোট চারটি শহর। একইভাবে শীর্ষ দশে কানাডার তিনটি শহর আছে। তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অপর শহর অ্যাডিলেড। পঞ্চম অবস্থানে থাকা অ্যাডিলে পেয়েছে ৯৬.৬ নম্বর। এ ছাড়া শীর্ষ ১০-এর মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি (সপ্তম)ও পার্থ (অষ্টম)। আর অস্ট্রেলিয়ার অপর শহর ব্রিসবেনের অবস্থান ১৮তম।
ইকোনমিস্টের তালিকার ১৪০টি শহরের মধ্যে সবচেয়ে শেষের অবস্থানে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক শহর (২৯.৩) । এর আগে বাংলাদেশের ঢাকা (৩৮.৭)। শেষ পাঁচে থাকা অপর শহরগুলো হলো পাপুয়া নিউ গিনির পোর্ট মোরেসবাই (৩৮.৯) ,নাইজেরিয়ার লাগোস (৩৯.৭) ও লিবিয়ার ত্রিপোলি (৪০)।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পর্যটনমন্ত্রী লিওন বিগনেল বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য সুবিধার কারণে দেশটির অ্যাডিলেডসহ অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলো এগিয়ে। প্রাকৃতিক পরিবেশ, শহর ঘিরে থাকা সমুদ্রতট, পাহাড়, আদিবাসীদের সবজি ও কৃষিকাজ সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলো বসবাসের জন্য অনন্য।
ইকোনমিস্টের তালিকায় শীর্ষ পাঁচ শহর
প্রথম মেলবোর্ন ৯৭.৫
দ্বিতীয় ভিয়েনা ৯৭.৪
তৃতীয় ভ্যাঙ্কুভার ৯৭.৩
চতুর্থ টরেন্টো ৯৭.২
পঞ্চম অ্যাডিলেড ৯৬.৬
ইকোনমিস্টের তালিকায় শেষের পাঁচ
১৪০. দামেস্ক ২৯.৩
১৩৯. ঢাকা ৩৮.৭
১৩৮. পোর্ট মোরেসবাই ৩৮.৯
১৩৭. লাগোস ৩৯.৭
১৩৬. ত্রিপোলি ৪০