সীমান্তে ‘মারধরের’ অভিযোগ, চলছে না ভারতীয় ট্রাক
ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে পুলিশের বিরুদ্ধে ট্রাক ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে ট্রাক মালিক, চালক ও শ্রমিকরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এরই প্রতিবাদে দুপুর থেকে কাজ বন্ধ রাখে ট্রাক মালিক, চালক ও শ্রমিকরা। ফলে এ পথ দিয়ে দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য। তবে, পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে যশোর রোডের ওপর পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট কাটিয়ে পথ চলতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষকে। পরে পরিস্থিতি বুঝে মাঠে নামে বনগাঁ থানার পুলিশ।
ট্রাক মালিক ও চালকরা অভিযোগ করে, পুলিশ বিনা কারণে তাদের মারধর করেছে। এমনকি যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা বহু গাড়ির কাঁচও পুলিশ লাঠির আঘাতে ভেঙে দেয়।
ট্রাকচালক জাকির হোসেন মণ্ডল, তাপস পাল, ট্রাকমালিক আশরাফুল মণ্ডল বলেন, পুলিশ বিনা কারণে তাদের মারধর করেছে। ট্রাকশ্রমিকরা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে যানজট কমানোর চেষ্টা করে। পুলিশ এসে তাদেরই মারধর শুরু করে।
পণ্যবাহী গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে পুলিশ কোনো সহযোগিতা করে না বলে ট্রাকচালক ও মালিকরা অভিযোগ করে। তারা জানায়, পণ্যবাহী গাড়ি রাখার বিষয়ে এখানে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা ও উদ্যোগ নেই। ফলে গাড়ি রাখতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে ট্রাকচালকরা অসুবিধার সম্মুখীন হয়।
তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সামনে স্বাধীনতা দিবস। তাই সীমান্ত এলাকায় পুলিশের বিশেষ পরিদর্শন চলছে। এদিন ট্রাক মালিকরা নিজেদের গাড়ি বেআইনিভাবে রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে রাখায় মানুষের অসুবিধা হচ্ছিল। পুলিশ এসব ট্রাককে সরিয়ে দিয়ে আসে।
এ দিকে ঘটনার জেরে দুপুরের পর থেকে ট্রাকচালক, মালিক ও শ্রমিকদের একাংশ কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে সীমান্ত বাণিজ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
তবে বন্দর সূত্র জানায়, ট্রাকচালক ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে সাময়িক বন্ধ থাকে বাণিজ্য। তারপর সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আর এ দিনের মতো বাণিজ্যসংক্রান্ত কাজ চালানো যায়নি।