বাসের কেউ এগিয়ে আসেনি, লাফিয়ে ‘বাঁচল’ কিশোরী
প্রতিদিনের মতোই বাসে চড়ে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরছিল এক কিশোরী। এমন সময় দুই সহযাত্রী তাকে উদ্দেশ করে বাজে আর অশালীন মন্তব্য করতে শুরু করে। এমনকি তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করতে এগিয়ে আসে তারা। ভীষণ ভয় পেয়ে যায় কিশোরীটি। অন্যদের সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে সে।
কিন্তু দিনদুপুরে তার সঙ্গে ওই বাসে থাকা আরো ২০ যাত্রীর কানে পৌঁছে না সেই আওয়াজ। কেউ এগিয়ে আসে না তাকে সাহায্য করতে। ফলে মানুষের চেহারায় বাসে থাকা হায়েনাদের কাছ থেকে নিজেকে বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিতে হয় নবম শ্রেণির ওই কিশোরীকে। আর এর ফলে মাথায়, পায়ে আর বুকে গুরুতর আঘাত নিয়ে এখন তাকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ভারতের জামশেদপুরের একটি হাসপাতালে।
শনিবার দুপুরে ঝাড়খন্ড রাজ্যের জামশেদপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশকে ওই কিশোরী জানিয়েছে, সেদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাসে ওঠে সে। এ সময় বাসের দুই যাত্রী তাকে উদ্দেশ করে অশালীন মন্তব্য করে। এতে বাসের অন্য যাত্রীদের সাহায্য চায় সে। কিন্তু কোনো যাত্রীই যখন তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না, তখন ওই যাত্রীর একজন তার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এ সময় বাসের প্রধান দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে পালায় সে।
জামশেদপুর পুলিশের কর্মকর্তা অনুপ টি ম্যাথিউ জানান, এ ঘটনায় ব্যক্তিমালিকানাধীন ওই বাসের চালকসহ দুই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাসের চালকের সহকারী এখনো পলাতক রয়েছে। এ ছাড়া অশালীন মন্তব্য করা ওই দুই যাত্রী বাসচালকের বন্ধু বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।