আর্জেন্টিনার নিখোঁজ সাবমেরিনকে তাড়া করেছিল ব্রিটিশ হেলিকপ্টার!
নিখোঁজের এক মাস পর আর্জেন্টিনার সাবমেরিন এআরএ স্যান হুয়ান সংশ্লিষ্ট আরো তথ্য মিলেছে। নৌবাহিনীর সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হওয়ার আগে সাবমেরিনটিকে একটি ব্রিটিশ হেলিকপ্টার তাড়া করেছিল বলে জানা গেছে।
গত ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে এআরএ স্যান হুয়ান নিখোঁজ হয়। আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়া উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আর্জেন্টিনা সাগরে অবস্থানকালে সাবমেরিনটির সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ হয় দেশটির নৌবাহিনীর। পরে ৪৪ জন নাবিকসহ সাবমেরিনটির কোনো খোঁজ মেলেনি।
রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওই সাবমেরিনে অবস্থানকারী নাবিক রবার্তো ড্যানিয়েলের সঙ্গে তাঁর বোন জেসিকা মেদিনার ফোনালাপ হয়। সে সময় ড্যানিয়েল বোনকে বলেন, ফকল্যান্ড দ্বীপের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ব্রিটিশ হেলিকপ্টার তাঁদের সাবমেরিনটি তাড়া করে। এর আগের দিন চিলির একটি জাহাজও তাঁদের তাড়া করেছিল বলে জানান তিনি। সাবমেরিনটি আর্জেন্টিনায় ফিরছে বলে বোনকে জানান ড্যানিয়েল।
আর্জেন্টিনার সংবাদপত্র লা গাসিতাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেসিকা বলেন, শুধু তিনিই নয়, ওই সাবমেরিনে অবস্থানকারী অন্য নাবিকদের পরিবারের সদস্যরাও ব্রিটিশ হেলিকপ্টারের তাড়া করার বিষয়টি জানেন।
তবে জেসিকার ওই দাবিকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এআরএ স্যান হুয়ান সাবমেরিনটি উশুয়াইয়া এন রুট থেকে বুয়েন্স আয়ার্স প্রদেশের মার দেল প্লাতা শহরে যাচ্ছিল। পথেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে এটা হতে পারে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিখোঁজের দুদিন পর সন্ধ্যা থেকে জরুরি ভিত্তিতে সাবমেরিনটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে অংশ নেয় নাসার একটি বিমানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
এআরএ স্যান হুয়ান নামে ওই সাবমেরিন জার্মানির তৈরি। ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত যুদ্ধযানটি ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে। সে সময় এটিই ছিল সর্বাধুনিক সাবমেরিন।