সাবমেরিন নিখোঁজের ‘সত্য’ উদঘাটনে তদন্তের নির্দেশ
আর্জেন্টিনার নিখোঁজ সাবমেরিন এআরএ স্যান হুয়ানের নিখোঁজের বিষয়ে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও মাকরি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে নৌবাহিনীর কার্যালয়ে দেওয়া এক বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট।
বিবিসি জানিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে এআরএ স্যান হুয়ান নিখোঁজ হয়। আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়া উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আর্জেন্টিনা সাগরে অবস্থানকালে সাবমেরিনটির সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ হয় দেশটির নৌবাহিনীর। সেটিতে ৪৪ জন নাবিক ছিলেন।
নিখোঁজের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো খোঁজ মেলেনি সাবমেরিনটির। ফলে এআরএ স্যান হুয়ানে কর্মরত নাবিকদের পরিবারসহ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে আর্জেন্টিনাবাসীর মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে, সাবমেরিনটি নিখোঁজের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে নেমেছেন প্রেসিডেন্ট মাকরি। ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নৌবাহিনীকে।
মাকরি বলেন, ‘৩৪ বছরের পুরোনো সাবমেরিনটি সম্প্রতি মেরামত করা হয়। সেটি পুরোপুরি সঠিক অবস্থায় ছিল।‘
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘যা ঘটেছে তার কারণ উদঘাটনে আমাদের গভীরভাবে তদন্ত করতে হবে। আমার প্রতিশ্রুতি হবে সত্যটা জানা।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর মুখপাত্র এনরিক বালবি জানান, সাবমেরিনটি নিখোঁজের স্থান থেকে একটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। তবে তার কারণ জানা যায়নি। ওই শব্দ পাওয়ার পর থেকে সাবমেরিনটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এখন বিস্ফোরণস্থলেই বিশেষভাবে অনুসন্ধান চালানো হবে।
এ বিষয়ে সিএনএনের খবরে বলা হয়, স্যান হুয়ানে ৪৪ নাবিকের সাত থেকে ১০ দিন টিকে থাকার মতো বাতাস রয়েছে। তবে সাবমেরিনটি যদি ভেসে থাকে অথবা টিউবের মাধ্যমে বাতাস সংগ্রহ করে থাকে, তাহলে নাবিকরা হাতে আরো বেশি সময় পাবেন।
এদিকে নিখোঁজের দুদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জরুরি ভিত্তিতে সাবমেরিনটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে অংশ নেয় নাসার একটি বিমানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এআরএ স্যান হুয়ান সাবমেরিনটি উশুয়াইয়া এন রুট থেকে বুয়েন্স আয়ার্স প্রদেশের মার দেল প্লাতা শহরে যাচ্ছিল। পথেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে এটা হতে পারে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এআরএ স্যান হুয়ান নামে ওই সাবমেরিনটি জার্মানির তৈরি। ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত যুদ্ধযানটি ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে। সে সময় এটিই ছিল সর্বাধুনিক সাবমেরিন।