যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত দূতাবাসে ফাতিমাহ বায়েসান নামের এক নারীকে মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সৌদি আরব। তিনিই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির কোনো দূতাবাসের প্রথম নারী মুখপাত্র। 

গতকাল বুধবার সকালে ফাতিমাহ তাঁর টুইটারে এই নিয়োগের কথা জানান।

ফাতিমাহর টুইটারে পোস্টকে উদ্ধৃত করে সৌদির সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাসে একজন মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য সৌদি আরব সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ।’  

ফাতিমাহ ওয়াশিংটনে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরাবিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এর আগে  ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি সৌদির শ্রম, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। দেশটির শ্রমবাজার, বেসরকারি খাত উন্নয়ন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়গুলো নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।

ফাতিমাহ বিশ্বব্যাংকের আর্থ-সামাজিক কৌশল বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও আমিরাত ফাউন্ডেশনের যুব উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন। তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এর আগে ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

দুই বছর আগে ‘ভিশন-২০৩০’ নামে একটি সংস্কার কর্মসূচি শুরু করে সৌদি আরব। এর মধ্যে রয়েছে তেলের ওপর নির্ভরতা থেকে অর্থনীতিকে বের করে আনা, তরুণ নাগরিকদের কর্মসংস্থানে নতুন নতুন খাত তৈরি, নারীর ক্ষমতায়ন ও নাগরিকদের জীবনযাপনের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের মতো বিষয়গুলো। এর শুরুর ধাপ হিসেবে গত মঙ্গলবার গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি।