পারমাণবিক পরীক্ষার জেরে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে মূল ভূমিকা রাখায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে উত্তর কোরিয়া।

মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হ্যান তাই সং এই হুঁশিয়ারি দেন।

‘আসন্ন ব্যবস্থার (নতুন নিষেধাজ্ঞা) ফলে…যুক্তরাষ্ট্রকে স্মরণকালের সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে’, বলেন হ্যান তাই।

যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের হুমকি সত্ত্বেও ৩ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। সবচেয়ে শক্তিশালী এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত একটি খসড়া নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনো ধরনের তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে পারবে না উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বস্ত্র রপ্তানিও ঠেকানো হয়েছে।

জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হ্যান এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অবৈধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, জবাবে উত্তর কোরিয়া ‘সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত’।

হ্যানের এ বক্তব্যেই থেমে থাকেনি উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) দেওয়া এক বিবৃতিতেও নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।

বুধবার কেসিএনএর ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের (ডিপিআরকে) প্রতি ন্যক্কারজনক উসকানি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটিকে আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ণ মাত্রার অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে।