ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ‘স্বৈরশাসক’ আখ্যায়িত করে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে মাদুরোর সব সম্পত্তি জব্দ করা হবে। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন না মার্কিন কোনো ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সময় সোমবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফ থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
গত রোববার ভেনেজুয়েলার গণপরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনের জের ধরে বিক্ষোভে নামে দেশটির রাস্তায়। নিহত হন কমপক্ষে ১০ জন।
ওই নির্বাচনের পরপরই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটিকে ‘বিপ্লবের নির্বাচন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মাদুরো।
মাদুরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হতাশা ও ঘৃণা থেকে আমার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি বিদেশি সরকারের কথায় চলি না, চলবও না... আপনার মনমতো নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু ভেনেজুয়েলার মানুষ স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আমি একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীন প্রেসিডেন্ট।’
রোববারের ওই নির্বাচনের ফলে ভেনেজুয়েলার সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা হাতে পাবে দেশটির গণপরিষদ। এ ছাড়া বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত দেশটির সংসদও ভেঙে দিতে পারবে।
এদিকে, সংবিধান সংশোধনের ওই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী জোট। দেশটির ৮৮ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় বলে আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে সতর্ক করে ট্রাম্প জানান, নির্বাচন হলে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভেনেজুয়েলায় বেশ কিছুদিন ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে। গত চার মাসে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন।