ভেনেজুয়েলায় মাদুরোবিরোধী ধর্মঘটে লাখো জনতা
নতুন গণপরিষদ গঠনে ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বাতিলের দাবির মধ্যেই ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর বিরুদ্ধে ধর্মঘটে রাস্তায় নেমেছে লাখ লাখ মানুষ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী এ ধর্মঘট শুরু হয়।
ধর্মঘটে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এরই মধ্যে নিহত হয়েছে কমপক্ষে তিনজন। এ ছাড়া তিন শতাধিক লোককে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।
মাদুরো বলেছেন, এটা তেমন কোনো ধর্মঘট নয়। এর আয়োজকদের গ্রেপ্তার করা হবে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মাদুরোবিরোধী বিক্ষোভ চাঙ্গা হয় ভেনেজুয়েলায়। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বিক্ষোভে নিহত হয়েছে প্রায় ১০০ মানুষ।
বৃহস্পতিবারের ধর্মঘটে যোগ দেওয়া বিরোধীদের রাজধানী কারাকাসসহ অন্য এলাকাগুলোতে রাস্তায় খড়কুটো ও আসবাব পুড়িয়ে রাস্তা অবরোধ করতে দেখা গেছে। তাদের দাবি, দেশের ৮৫ শতাংশ এলাকায় বিক্ষোভ হচ্ছে।
তবে রাজধানীতে সরকারপন্থী এলাকাগুলোতে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক দেখা গেছে। সেখানে দোকানপাট খোলা, রাস্তায় রয়েছে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য। এ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের স্বাভাবিক সময়ের মতোই কাজে যেতে দেখা গেছে।
কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। এসব বিক্ষোভের সময় কারাকাসের উপকণ্ঠে একজন ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর ভ্যালেন্সিয়ায় দুজন নিহত হওয়ার খবর বেরিয়েছে।
স্থানীয় একটি সংগঠনের দাবি, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সারা দেশে ৩৬০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও বিরোধী নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টকে বিদ্যমান বাস্তবতা ধরে নিয়ে কলম্বিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভেনেজুয়েলা সরকারকে নতুন গণপরিষদ গঠনে অনুষ্ঠেয় ভোটাভুটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। তবে সেই আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন মাদুরো।
টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে মাদুরো ধর্মঘটিদের বিপক্ষে সরকার ‘বিজয়ী’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর ভাষ্য, দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাত-সংশ্লিষ্টরা ধর্মঘটে যোগ দেয়নি।