পাকিস্তানের নাগরিক ফাইজা তানভির। মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত এই নারী চিকিৎসার জন্য যেতে চেয়েছিলেন ভারতে। কিন্তু তাঁকে ভিসা দেয়নি প্রতিবেশী দেশটি। এমন বাস্তবতায় চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন ফাইজা। 

স্থানীয় সময় শুক্রবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন ফাইজার মা পারভিন আখতার। 

দুই দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্কের কারণেই মেয়েকে ভিসা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন পারভিন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে সুষমার উদ্দেশে ফাইজা লিখেন, তিনি ক্যানসারে ভুগছেন। ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করতে চান। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার ইন্দ্রপ্রস্থ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার আবেদন করেন ফাইজা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ফাইজা ও তাঁর মাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। পরে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ২০ লাখ রুপির অর্ধেক হাসপাতালটিতে জমা দেয় ফাইজার পরিবার। কিন্তু এর পরও ভিসা দিতে নারাজ ভারত।
 
এ বিষয়ে ফাইজার মা পারভিন আখতার দ্য ডনকে বলেন, তাঁর মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর অংশে ক্যানসারের সংক্রমণ হয়েছে। ওই স্থানগুলোতে কেমোথেরাপি দেওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরে তাঁরা উন্নত চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানের জিন্নাহ হাসপাতালে যান।

পারভিন আরো জানান, জিন্নাহ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ফাইজার চোখ অপসারণ করার পরই কেমোথেরাপি করার পরামর্শ দেন। এতে বেশ ঘাবড়ে যান তিনি। এর পরই চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। 

ভিসা না পেয়ে পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পারভিন। সেখান থেকে জানানো হয়, সরকারিভাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দেওয়া যেতে পারে ভিসা। এর পর সুষমা ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের কিছু রাজনীতিকের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন পারভিন।