বন্যায় সিংহের আশ্রয় মন্দিরে
ভারতের গুজরাটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানে মানুষের পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছে প্রাণিকুল। শুক্রবার রাজ্যের আমরেলি জেলার ইনগ্রোলা গ্রামের মন্দিরের মধ্যে আশ্রয় নেয় এক সিংহ। সিংহের হামলায় আহত হয়েছেন গ্রামের দুই নারী। বনরক্ষীদের ১৫ ঘণ্টার চেষ্টায় সিংহটিকে অচেতন করে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বন দপ্তরের উপ-বনরক্ষক এম আর গুরজর জানান, শুক্রবার প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ইনগ্রোলা গ্রামে একটি মন্দিরে ঢুকে সিংহটি আশ্রয় নেয়। মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে সিংহটির হামলায় আহত হন গ্রামের দুই নারী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন দপ্তরের কর্মীরা সিংহটিকে মন্দির থেকে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মন্দিরে যাতায়াতের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সিংহটিকে কোনোভাবেই মন্দির থেকে বের করা যায়নি। অবশেষে প্রায় ১৫ ঘণ্টার চেষ্টায় অচেতন করার গুলির সাহায্যে সিংহটিকে ধরে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত চারদিনের টানা বৃষ্টিতে গুজরাটে সৃষ্ট বন্যায় এ পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় মারা গেছে এক শাবকসহ পাঁচটি সিংহ। আমরেলিতে বৃষ্টির পানিতে ভেসে গিয়ে তিন সিংহের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় ভবাদি গ্রামে এক কৃষিজমিতে কাদায় আটকে একটি সিংহের মৃত্যু হয়েছে। ভাবনগরে পাওয়া গেছে দুটি সিংহের মৃতদেহ।
গুজরাটের আমরেলির বন দপ্তরের উপ-বনরক্ষক অংশুমান শর্মা জানান, সেতারঞ্জি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কারনে ‘গির’ অরণ্যের সিংহরা বিভিন্ন গ্রামের ছড়িয়ে পড়ছে। পানি কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট হবে।
আহমেদাবাদের আবহাওয়া দপ্তর ফের মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এরই মধ্যে গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে বন্যায় মৃত পরিবারকে চার লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।