বাংলাদেশে মোদির মন্তব্য, জাতিসংঘে যাচ্ছে পাকিস্তান
পার্লামেন্টে সর্বসম্পতিক্রমে ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাসের পর জাতিসংঘে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যের নিন্দা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ এক বক্তৃতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করা নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি এই অবস্থান নেয়। পাকিস্তানের দৈনিক ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘে যাব।’ গতকাল সোমবার দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোট সার্কের দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন/উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রধানদের ১০ম সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ ও ৭ জুন ঢাকা সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়াদিল্লির ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেন। ৭ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় মোদি বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের যখন রক্ত ঝরছিল, ভারতের নাগরিকরাও তাঁদের পাশে থেকে লড়াই করেছেন এবং এভাবে বাংলাদেশের স্বপ্ন সত্যি হতে সহায়তা করেছেন।’
বক্তৃতায় মোদি ‘উপদ্রব’ সৃষ্টি এবং জঙ্গিবাদের মাধ্যমে ভারতেক অনবরত বিরক্ত করার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পাকিস্তান অনবরত ভারতকে বিরক্ত করে, উপদ্রব সৃষ্টি করে, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়।‘
ভারতের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে সারতাজ আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাশ্মীর ও পানির বিষয় না থাকলে ভারতের সঙ্গে সংলাপ করে কিছু হবে না।’
এর আগে আজিজ বলেন, ‘১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান আলাদা হওয়ায় এবং জঙ্গিবাদের মাধ্যমে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল রাখতে ভারতের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রকাশ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান।’
বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে আজিজ বলেন, এরই মধ্যে পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। মোদির মন্তব্যের কারণে ভারতের অতীত ও বর্তমান বিভিন্ন নীতি বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান বদলে গেছে। বাংলাদেশে মোদির এমন মন্তব্যের লক্ষ্য ছিল দেশটিতে পাকিস্তান বিরোধিতা উসকে দেওয়া।