আট কোটির জনসংখ্যার মাত্র ১৭ জন দরিদ্র। অবিশ্বাস্য ঠেকলেও এমনটিই দাবি করেছে চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশ কর্তৃপক্ষ। এ তথ্য নিয়ে অনলাইনে সমালোচনা হয়েছে। সম্পদ ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জিয়াংসু প্রদেশ। প্রথম অবস্থানে রয়েছে গুয়াংদং।

জিয়াংসু প্রদেশ কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে অল্পকিছু লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত চার বছরে ২৫ লাখ ৪০ হাজার মানুষ দারিদ্র্যদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে। চীনে ছয় হাজার ইউয়ান, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩ হাজার ২২০ টাকার কম বার্ষিক আয়ের নাগরিককে দরিদ্র বলা হয়।

জিয়াংসু প্রদেশের দরিদ্র ১৭ জনের মধ্যে চারজন অসুস্থ। তবে প্রদেশ কর্তৃপক্ষ এতটা সঠিক তথ্য কীভাবে পেল, দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবুতে অনেকে এমন মন্তব্য করেছেন।

প্রদেশ কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের মধ্যে শতভাগ দারিদ্র্যমুক্তির জন্য কেন্দ্র সরকারের কর্মসূচি অনুযায়ী কাজ করে আসছিল। আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার দারিদ্র্য থেকে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে লড়াই করছে। হঠাৎ হঠাৎ গতি কমলেও চীন বছরে প্রায় ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি করছে।

প্রাদেশিক পর্যায়ের ৩৪টি প্রশাসনিক ইউনিট রয়েছে চীনে। এর মধ্যে ২৩টি প্রদেশ, বেইজিং, তিয়ানজিন, সাংহাই ও জংগিং নিয়ে চারটি মহানগরী আর পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং দুটি বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা হংকং ও ম্যাকাও।