৬৩৬ নাকি ২৪ হাজার ৫৮৯? করোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ জনে। চীন সরকার এমন তথ্যই দিচ্ছে। যদিও কানাঘুষা চলছে, সত্যটা চেপে যাচ্ছে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি।
সন্দেহ জোরদার হয়েছে একটি চীনা সংস্থার প্রতিবেদনে। তাতে দাবি করা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৫৮৯ জনের, যা সরকারের দেওয়া মৃতের সংখ্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ এসব তথ্য জানিয়েছে।
তাইওয়ানের একটি সংস্থার দাবি, ‘টেনসেন্ট’ নামে একটি সংস্থা অনিচ্ছাকৃতভাবে করোনাভাইরাসে মৃত ও আক্রান্তের ‘আসল’ সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে। টেনসেন্টের ওয়েবপেজে আরো জানানো হয়েছে, ভাইরাসে সংক্রমণের পর সুস্থ হয়েছেন মাত্র ২৬৯ জন। এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নেটিজেনরা। একাংশের বিশ্বাস, টেনসেন্ট ভুল করে তাদের প্রতিবেদনে ওই সংখ্যা লিখেছে। আবার আরেকদল নেটিজেন মনে করেন, টেনসেন্ট হয়তো বাস্তব পরিস্থিতিটাকে সামনে আনতে চাইছে। তবে টেনসেন্ট এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ জনে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন আজ শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে আরো ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চীনে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরো তিন হাজার ১৪৩ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ হাজার ১৬১ জনে।
এদিকে জাপানে নোঙর করানো একটি প্রমোদতরীর অন্তত ৬১ জন আরোহীর শরীরের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।
চীন ছাড়াও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ২৫টি দেশে। এরই মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফিলিপাইন ও হংকংয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে (পৃথক করে রাখা) রেখে পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে হংকং।
এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম করোনাভাইরাস ঠেকাতে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা চেয়েছেন।