সৌদি আরবে বাদশাহর ভাইসহ তিন প্রিন্সকে আটকের পর এবার গ্রেপ্তার করা হলো দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। আটক ও গ্রেপ্তারের নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা গতকাল সোমবার এ খবর প্রকাশ করেছে।

এর আগে শুক্রবার বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ, বাদশাহর ভাতিজা সাবেক প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ এবং তাঁর ছোট ভাই প্রিন্স নাওয়াফ বিন নায়েফকে আটকের খবর প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। তবে এই ধরপাকড় নিয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও নিউইয়র্ক টাইমসের পৃথক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, সৌদির বর্তমান রাজা ও যুবরাজকে (ক্রাউন প্রিন্স) ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে রাজপরিবারের তিন যুবরাজকে আটক করা হয়।

কিন্তু রোববার নতুন খবর প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। সংবাদমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তিনজন নয়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে অন্তত ২০ প্রিন্সকে এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে।

এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, গত শুক্রবার সৌদি রাজপরিবারের তিন প্রিন্সকে আটক করা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা মূলত মুখোশ ও কালো পোশাক পরে রাজপরিবারের এসব সদস্যদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে।

এখন পর্যন্ত ২০ প্রিন্সকে আটক করা হলেও মিডল ইস্ট আই চারজন প্রিন্সের নাম নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে অন্তত দুজন দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ভেতর অন্যতম।

এই আটক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর টুইট বার্তায় রাজপরিবারের সব প্রিন্সকে যুবরাজ সালমানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন প্রিন্স এরই মধ্যে সেটি পালন করেছেন।

এদিকে সৌদির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে।

২০১৭ সালে বিন সালমানের নির্দেশে সৌদি রাজপরিবারের অনেক সদস্য, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরবর্তীকালে তাঁদের রাজধানী রিয়াদের রিৎস-কার্লটন হোটেলে আটকে রাখা হয়। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন।