সোয়াইন ফ্লুর চেয়ে ১০ গুণ প্রাণঘাতী করোনা : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নভেল করোনাভাইরাস কতটা ভয়াবহ, গোটা দুনিয়া তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও স্পেনের মতো দেশগুলোও করোনার প্রাদুর্ভাব এড়াতে পারেনি। বিশ্বজুড়েই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। এমন এক অবস্থায় চরম সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগের প্রাণ সংহারী ক্ষমতার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস গতকাল বলেন,গত দশকের আরেক মহামারি সোয়াইন ফ্লুর চেয়েও ১০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, সোয়াইন ফ্লু যাকে আমরা এন১এইচ১ ভাইরাস বলে জানি, তারচেয়েও ১০ গুণ প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। ২০০৯ সালে সারা বিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করেছিল সোয়াইন ফ্লু। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, কোভিড-১৯ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু, যে গতিতে ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েছে, সে তুলনায় এর প্রাদুর্ভাব কমার গতি শ্লথ। করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোকে সতর্ক করে টেড্রস আধানম বলেন,করোনা নিয়ন্ত্রণে যে সব পদক্ষেপ দেশগুলো নিয়েছে, তা থেকে হঠাৎ সরে এলে, পরিণাম আরো ভয়াবহ হতে পারে। পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে, করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের দেশগুলোর গৃহীত পদক্ষেপ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার পরামর্শ দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ১৯ হাজার ৭৭৮ জন। করোনায় আক্রান্ত ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৯১৯ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে চার লাখ ৪৮ হাজার ১০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ হাজার ৭৩৯, ইতালিতে ২০ হাজার ৪৬৫, স্পেনে ১৭ হাজার ৬২৮, ফ্রান্সে ১৪ হাজার ৯৬৭, যুক্তরাজ্যে ১১ হাজার ৩২৯, ইরানে চার হাজার ৫৮৫, বেলজিয়ামে তিন হাজার ৯০৩, চীনে তিন হাজার ৩৪১, জার্মানিতে তিন হাজার ২০০, নেদারল্যান্ডসে দুই হাজার ৮২৩ ও ব্রাজিলে এক হাজার ৩৫৫ জন।
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গতকাল সোমবার পর্যন্ত আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মোট ৮০৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার পর মোট সুস্থ হয়েছে ৪২ জন।