ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো ২০০ জন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিক্ষোভ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জাফরাবাদ, মোজপুর, শিব বিহার ও চাঁদবাগ এলাকা। এদিকে সংঘাত নিয়ন্ত্রণে পুলিশ যথেষ্ট কাজ করছে না বলে অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল। এ ছাড়া সংঘাত ঠেকাতে না পারা পুলিশের ‘বিরাট ব্যর্থতা’ বলে মনে করছেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম।

অন্যদিকে, জনগণকে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নয়াদিল্লির সংঘাতপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার থমথমে নীরবতা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে দিল্লির চারটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ চলাকালে কাউকে প্রকাশ্যে দেখা গেলে গুলি করার নির্দেশ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের মধ্যেই দিল্লিতে চরম বিক্ষোভ শুরু হয়। ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদি সরকার সিএএ পাস করানোর পর থেকেই বিতর্কিত আইনটির পক্ষে-বিপক্ষে দিল্লিতে বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে।

সমালোচকরা বলছেন, ভারতের অসাম্প্রদায়িক সংবিধান লঙ্ঘন করে মুসলিমদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লি ছিল অগ্নিগর্ভ। প্রকাশ্যেই চলেছে গুলি।