লাইলাতুল কদরে আল-আকসায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ
মাহে রমজানের পবিত্র ভাগ্যরজনি লাইলাতুল কদরে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন মুসল্লিরা। এ সময় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে এক বছরের শিশুসহ ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত শুক্রবার রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা উপলক্ষে সমবেত মুসল্লিদের ওপর চড়াও হয় ইসরায়েলি পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ আল-আকসা মসজিদে ঢুকে পড়ে। গোটা মসজিদ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওই রাতে ২০৫ ফিলিস্তিনি ও ১৮ ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা আহতের কথা জানা যায়।
জেরুজালেমের পুরনো নগরী এলাকার দামেস্ক ফটক অঞ্চল থেকে তরুণ ফিলিস্তিনি মাহমুদ আল-মারবুয়া রয়টার্সকে বলেন, তারা আমাদের নামাজ আদায় করতে দিতে চায় না। প্রতিদিনই লড়াই-সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রতিদিনই বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
ইসরায়েলি পুলিশের কথা বলতে গিয়ে ২৭ বছর বয়সী আল-মারবুয়া বলেন, ‘দেখুন, তারা আমাদের ওপর গুলি ছুঁড়ছে। আমরা বাঁচব কী করে?’
জেরুজালেমে ইহুদি দখলদারদের দ্বারা ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তাপের মধ্যেই মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস এসেছে। ফলে সেখানে বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলি সীমান্তে জড়ো হয়েছেন স্থানীয়রা। ইসরায়েল বলছে, তাদের সীমান্তে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ওপর জ্বলন্ত টায়ার ও আগুনের ঝিল্লি ছোড়া হচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী অন্তত একটি রকেট ছুঁড়েছে, যেটি ইসরায়েলের ভেতরে ফাঁকা জায়গায় পড়েছে। এ ছাড়া জেরুজালেমের পাশাপাশি দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, শুক্র ও শনিবারের সহিংসতা যেন পরবর্তী পর্যায়ে না গড়ায় সে লক্ষ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে মিসর।
মুসলিমদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস অর্থাৎ আল-আকসা মসজিদে শুক্রবার রাতে ফিলিস্তিনি তরুণদের ওপর রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি পুলিশ। ফিলিস্তিনি তরুণ এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। এতে গোটা মসজিদ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আল-আকসা মসজিদ সংলগ্ন টেম্পল মাউন্ট প্লাজা ইহুদিদের কাছে পবিত্র স্থান। দীর্ঘ দিন ধরে এ নিয়ে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে আসছে ইসরায়েল।