রাশিয়া ও চীন সংযুক্ত হলো সেতুতে, তৈরি হলো ইতিহাস (ভিডিওসহ)
চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী প্রথম সড়কসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ সেতুর ফলে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ইতিহাস তৈরি হলো। সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। রাশিয়ার ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সঙ্গে চীনের হেইহে অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে এই সেতু। সংবাদমাধ্যম এবিসি এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, সেতুটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ২৯ কোটি ডলার। হেইলংজিয়াং নদীর ওপর তৈরি হওয়া এক হাজার ৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু চীনে ৫৪০ মিটার ও রাশিয়ায় ৫৪০ মিটার পড়েছে।
২০২০ সালের শেষের দিকে যান চলাচলের জন্য এই সেতু খুলে দেওয়া হবে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে আশা মস্কো ও বেইজিংয়ের। এ ছাড়া কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের কাজেও সেতুটিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
রাশিয়ার আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ বলেন, ‘আমরা একটি আন্তর্জাতিক পরিবহনের সুযোগ তৈরি করেছি।’
এর আগে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বৈরী সম্পর্ক এবং খনিজসমৃদ্ধ জনবিরল পূর্বাঞ্চলে চীনা প্রভাব বিস্তারে রাশিয়ার ভয় থাকার কারণে এ ধরনের কাজ বন্ধ ছিল।
এর আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছিলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কার্যক্ষেত্রে ‘দৃঢ় সম্পর্ক’ রয়েছে তাঁর। ওই সময় রাশিয়া-চীনের মধ্যে সম্পর্ককে ‘বিশেষ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
এদিকে, গত সোমবার মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে জ্বালানি অংশীদারিত্ব বাড়াতে ছয় হাজার কিলোমিটার গ্যাস পাইপলাইন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন।