যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি
২০১৯ শেষ হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক শেষে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গতকাল সোমবার যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
সোমবার প্যারিসে বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী ও রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের মধ্যে পাঁচ বছর ধরে চলমান যুদ্ধে অন্তত ১৩ হাজার প্রাণহানি হয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করে ফ্রান্স ও জার্মানি।
চুক্তিতে কী আছে?
লিখিত এই চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যেই সব ‘সংকট-সংশ্লিষ্ট বন্দি’বিনিময় করবে দুই দেশ।
এ ছাড়া ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে ইউক্রেনের আরো তিনটি অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করার অঙ্গীকার করেছে দুপক্ষ। তবে কোন তিনটি অঞ্চল, তা নির্দিষ্ট করে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
চুক্তি স্বাক্ষরের চার মাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকে বসার কথা দুই দেশের।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলের একমাস পর ডোনেৎস্ক ও লুহান্সকের পূর্বাঞ্চলে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সরবরাহের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করে ইউক্রেন। মস্কো এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। অবশ্য মস্কো স্বীকার করেছে রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে।