মক্কা ও মদিনার মসজিদ খোলার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি
পৃথিবীতে করোনাভাইরাস সংকটের ভারি বাতাস বইছে। এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর এখনো উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিদিন বৈশ্বিক পরিসংখ্যানের আপডেট দিচ্ছে। এসবের কোথাও যেন কোনো আশার আলো নেই। সৌদি আরবেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬২ জনে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে মক্কার মসজিদে হারাম আর মদিনার মসজিদে নববীতে সীমিত আকারে পাঁচ ওয়াক্তের জামাতে নামাজ, জুমা ও তারাবির নামাজ চালু থাকলেও সাধারণ মুসল্লিদের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ কারণে রমজানের পুরোনো চিরায়ত কোনো চিত্র নেই মক্কা ও মদিনায়।
এত দিন ধরে দেশটিতে লকডাউন জারি ছিল। সম্প্রতি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। রমজানের আগমনে মক্কা মোকাররমা বাদে অন্যসব অঞ্চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।
অথচ রমজানের শুরুতে প্রায় সবাই আশায় ছিল, মক্কা ও মদিনার মুসলমানদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। খুলে দেওয়া হবে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর দরজা। মুমিনরা আশাহত হতে পারে না।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে মক্কা ও মদিনাবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসকে মক্কা ও মদিনার মসজিদ খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে এ বিষয়ে সুসংবাদ দিতে চাই যে, ইনশাআল্লাহ শিগগিরই এই মুসিবত কেটে যাবে। আমরা আবার আমাদের সেই তাওয়াফ, সাঈর পুরোনো চেহারায় ফিরে যাব। রাসুলের রওজা মোবারকে সালাম ও দরুদ পাঠের সেই নুরানি আভায় আবির্ভূত হবো। কিছু নিয়মনীতি মেনে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনেই আমরা কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করব।’
এদিকে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, মক্কা-মদিনার বিষয়ে মুসলমানদের হৃদয়ের অনুভূতিকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে। তবে এখনো নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। করোনা থেকে রক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনার প্রথম ধাপ হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদেশিদের জন্য ওমরাহর ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৭ মার্চ দেশটির সব মসজিদে জুমা ও জামাত আদায় স্থগিত করা হয়।