ভারতে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে ৫১৯৪, মৃত ১৪৯ জন
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এর মধ্যেই ভারতে পাঁচ হাজার পেরিয়ে গেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার ২০০ জন। এরই মধ্যে ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে মৃতের সংখ্যাটি উদ্বেগজনক। ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। যার জেরে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ জনে।
ভারতের মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ১৯৪ জন। এর মধ্যে ৪০১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তিতে নতুন করে আরো দুজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে মহারাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ জন, আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার। অন্যদিকে, কাশ্মীরে নতুন করে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। কাশ্মীরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫ জনে। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯১ জন। পশ্চিমবঙ্গে সরকারি মতে, করোনায় মৃত পাঁচজন।
উল্লেখ্য, ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে গত ২৪ মার্চ দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ১৪ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বিজেপিশাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য এরই মধ্যে কেন্দ্রকে লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। শুধু রাজ্যগুলোই নয়, একাধিক বিশেষজ্ঞ কেন্দ্রীয় সরকারকে একই পরামর্শ দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি গঠিত ১১ জনের বিশেষ কমিটিকে সেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বেশির ভাগেরই মত লকডাউন বাড়ানোর দিকেই।
ভারতের করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভারতের সব রাজ্যের ধর্মীয় স্থান বন্ধ করে দিতে হবে। কোনো ধর্মের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আপাতত যেন বদলি বন্ধ রাখা হয়, সে আর্জিও জানিয়েছে রাজ্যগুলো। হোটেল, রেস্তোরাঁ, পানশালাগুলোর ক্ষেত্রেও লকডাউন জারি রাখার কথা বলা হয়েছে। আপাতত কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান, শোকসভা কিংবা কনফারেন্স করা যাবে না বলেও সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের উপপ্রধানমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, লকডাউনের শেষ সপ্তাহটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংক্রমণের তথ্যের ওপরই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, লকডাউন বাড়লেও যেন মানুষ একইভাবে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে।