ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭ জন নিহত, উদ্ধার ৯
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরের একটি দোতলা বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আজ শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে এ অগ্নিকাণ্ডে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১১ জন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে দুজন নারী। এখন পর্যন্ত নয় জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্দোরের স্বর্ণবাগ কলোনির একটি বাড়িতে মেইন ইলেকট্রিক সাপ্লাই সিস্টেমে শর্টসার্কিট হয় স্থানীয় সময় রাত ৩টা ১০ মিনিটের দিকে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। শর্টসার্কিটের আগুন মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়িতে লেগে যায়। এরপর দ্রুত গোটা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এ ঘটনায় বাড়ির মালিককে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির ফলে মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। কারণ, ওই বাড়িতে কোনো অগ্নি-নির্বাপক বা আগুন থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। বাড়িটির দুটি তলায় একটি করে ফ্ল্যাট ছিল। এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
টুইটে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, বিদেহী আত্মাদের তাঁর চরণে ঠাঁই দিন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এ কষ্ট সহ্য করার শক্তি দিন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থ করে তুলুন।’
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ইন্দোরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের জন্য প্রত্যেককে চার লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ইন্দোরের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘সাত জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত নয় জনকে উদ্ধার করেছেন।’
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শর্টসার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। জানা গেছে, আগুন লাগা ভবনের সব বাসিন্দা ভাড়াটিয়া ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৩টার দিকে তাঁরা শব্দ শুনতে পান। বাইরে গিয়ে দেখেন আগুন লেগেছে। তখন তাঁরা বালতি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে সাত জনের মৃত্যুর পর ভবনটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সকালেই তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক বিভাগের দল। কীভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ কমিশনার হরিনারায়ণচারী মিশ্র ও বিধায়ক মহেন্দ্র হরদিয়া।