বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ, চীনের ১৩ শহরে ‘তালা’
বেড়েই চলেছে চীনে করোনাভাইরাস গোত্রের নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ। এই ভাইরাস সংক্রমণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৪১ জনের। এ মুহূর্তে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ২৮৭ জন। এরই মধ্যে আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) চৈনিক নববর্ষের প্রথম দিন। তবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে চীনে চান্দ্র নববর্ষের আমেজ অনেকটাই ম্রিয়মাণ।
কেন, কীভাবে বা কোথা থেকে এসেছে করোনাভাইরাস, এ নিয়ে আর ভাবনার অবকাশ নেই। এখন শুধু প্রতিরোধের সময়। ভাইরাসটির মহামারি আকার ধারণে আর দেরি নেই, তা স্পষ্ট। নিহত ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মুহুর্মুহু। পদক্ষেপ হিসেবে, চীন কর্তৃপক্ষ তালা দিয়েছে ১৩টি শহরে। এসব শহরে বন্ধ রয়েছে স্বাভাবিক চলাচল। গণপরিবহন বন্ধ হয়েছে আরো দুদিন আগে। কিন্তু এখনো বাগে আনা যাচ্ছে না প্রাণঘাতী ভাইরাসটি।
করোনাভাইরাস গোত্রের জীবাণুটির উৎপত্তি চীনের উহান শহরে হওয়ায় আপাতত একে ‘উহান ভাইরাস’ নাম দিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। সেখানে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হবে এক হাজার শয্যার নতুন একটি হাসপাতাল। সেনাবাহিনীর বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
তবে এত শঙ্কার মধ্যে আক্রান্ত রোগীর সম্পূর্ণ ভালো হয়ে বাড়ি ফেরার খবরও আছে। যার কৃতিত্ব রোগীরা হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট সবাইকে দিতে চান।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার অপেক্ষারত এক রোগী বলেন, ‘মেডিকেল স্টাফরা দিনরাত আমার সেবা করেছেন। সে জন্যই এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারছি।’
এশিয়ার কয়েকটি দেশ ছাড়াও রোগটি ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায়। সেসব জায়গায় চিকিৎসকদের সতর্ক অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে ধরা হয় চান্দ্র বছরের প্রথম দিনটি। আয়োজন ও প্রস্তুতি চলে দুই সপ্তাহ ধরে। চান্দ্র বছরের প্রথম দিনটি চীন ছাড়াও পালিত হয় বিশ্বজুড়ে। সব জায়গার চীনা কমিউনিটির সদস্যরা দিনটি পালন করলেও চীনের আবহ একেবারে ভিন্ন। কমে গেছে নববর্ষের কেনাকাটা, যা চাপ ফেলছে দেশটির সার্বিক অর্থনীতির ওপর। এরই মধ্যে হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভের বার্তা নিয়ে পালিত হচ্ছে নতুন চান্দ্র বছরের প্রথম দিন। তবে সেইসঙ্গে রয়েছে করোনাভাইরাস আতঙ্কও।