আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশে একটি মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সেনা মুখপাত্র কর্নেল সনি লেজেট নিশ্চিত করেছেন। গজনি প্রদেশটির অধিকাংশ এখন তালেবানের দখলে।

মার্কিন সেনা মুখপাত্র বলেছেন, সোমবার গজনিতে ওই বিমানটি বিধ্বস্তের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে শত্রুরা সামরিক বিমানটি ভূপাতিত করেছে এমন দাবি নাকচ করে দেন তিনি।

কর্নেল লেজেট এক টুইটার বার্তায় বলেন, বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল ই-১১এ মডেলের বোমারু বিমান। তালেবান আরেকটি মার্কিন বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার যে দাবি করেছে তাকে তিনি ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেন। তবে বিধ্বস্ত বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিল তা জানাননি মার্কিন ওই সেনা কর্মকর্তা।

স্থানীয় সাংবাদিক তারিক গজনিওয়াল দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, তিনি দুটি মরদেহ দেখেছেন। তবে অন্যরা মোট পাঁচজন নিহতের কথা বলছেন।

তালেবান বলেছিল, তারা ‘পদস্থ মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের’ বহনকারী একটি সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে এবং এ ঘটনায় বিমানটির সব আরোহী নিহত হয়েছে। তালেবানও জানাতে পারেনি তারা বিমানটি ভূপাতিত করে কতজন মার্কিন সেনাকে হত্যা করেছে।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, বিমানটির সব আরোহী মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কর্মকর্তা ছিলেন। জবিউল্লাহ মুজাহিদ আরেকটি বিমান বিধ্বস্ত করার দাবি করলেও তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে ওই দাবিকে ভুয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জবিউল্লাহ মুজাহিদ গার্ডিয়ানকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ‘কোনো প্রভাব’ ফেলবে না।

গতকাল সোমবার দিনের শুরুতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা অ্যারিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয় বলে খবর প্রকাশিত হয়। পরে ওই এয়ারলাইন্স কঠোর ভাষায় তাদের কোনো বিমান নিখোঁজ হওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ভূপাতিত বিমানটির ভিডিও প্রকাশ করে তালেবান দাবি করে তারা এটিকে গুলি করে নামিয়েছে। তালেবান বিধ্বস্ত বিমানটির ভিডিও প্রকাশ করার পরই কেবল মার্কিন সেনা কর্মকর্তা তাদের বিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।

তালেবানের বিমান বিধ্বসী অস্ত্র রয়েছে কিনা তা নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে। তবে ২০০৭ সালে তালেবান যোদ্ধারা মিসাইল হামলা করে চিনুক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করে। এতে আরোহী সবাই নিহত হয়।