বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু, নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে জরুরি অবস্থা জারি
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হঠাৎ করে বন্যা এবং টর্নেডো আঘাত হানার পর কমপক্ষে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার কারণে কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেছেন, শহরের মানুষ ঐতিহাসিক আবহাওয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। ভয়াবহ বন্যা এবং রাস্তাঘাটে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সাবওয়ে স্টেশন, লোকজনের বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি ঢুকে গেছে এবং রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে নিউ জার্সিতেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ওই অঙ্গরাজ্যে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নিউ জার্সির মেয়র জানিয়েছেন, ওই অঙ্গরাজ্যের প্যাসেইক শহরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই একই অঙ্গরাজ্যের মুলিকা হিলে টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে নয়টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
নিউ জার্সির কিয়ার্নিতে একটি ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সে সময় সেখানে বেশ কয়েকজন ছিল। উদ্ধারকারী কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে, কেউ হতাহত হয়েছে কিনা।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে এক ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বা ৩ দশমিক ১৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
দমকল বিভাগ জানিয়েছে, পুরো শহর থেকেই তাদের কাছে সাহায্য চেয়ে ফোনকল আসছে।
নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে অধিকাংশ সাবওয়ে এখন বন্ধ রয়েছে এবং অনেক স্থানে রেল সেবা এবং উড়োজাহাজের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ২৪০ কিলোমিটার বা ১৫০ মাইল বেগে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডা। তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়।