নাগরিকত্ব আইনে একতরফা স্থগিতাদেশ নয়, জানাল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ নিয়ে একতরফা স্থগিতাদেশ দিতে নারাজ দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সিএএর বিরুদ্ধে ১৪০টির আবেদনের শুনানি ছিল আজ বুধবার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পিটিশনগুলো পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সিএএ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে।
এর আগে নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন। আজ বুধবার সেসব আবেদনের শুনানি হয় তিন বিচারপতির বেঞ্চে। ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত ওই বেঞ্চ জানিয়েছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ জারি হবে কিনা, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেবেন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও আবদুল নাজির।
আজ বুধবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানান, সিএএর বিরুদ্ধে পিটিশনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কী প্রতিক্রিয়া, তা না জেনে কোনো স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি নন তাঁরা। আপাতত সিএএ নিয়ে ব্যাখ্যাব দিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
তালিকা অনুসারে প্রথম যে আবেদনের শুনানি হয়, তা দাখিল করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ বা আইইউএমএল। সংগঠনটির আবেদনে অবিলম্বে সিএএ বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার নির্দেশ চাওয়া হয় আদালতের কাছে।
এদিকে আগামী ২৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় একটি বিশেষ অধিবেশনে সিএএবিরোধী প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। কেরালা ও পাঞ্জাবের পর ভারতের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছে বিরোধী দল সিপিআই ও কংগ্রেস। কারণ, জানুয়ারির শুরুর দিকে বিরোধীরা সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পেশ করতে চাইলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তা খারিজ করে দেন।