‘ধর্ষণ নিয়ে খুব সরব ছিলেন, এখন নীরব কেন ম্যাডাম?’
রোহিঙ্গা গণহত্যায় ‘নীরব’ থাকার কারণে তীব্র সমালোচিত হয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানির শেষ দিনে সু চির সমালোচনা করেন গাম্বিয়ার আইনজীবীরা।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যার চালানোর পরও ‘নীরব’ রয়েছেন অং সান সু চি। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়েই কথা বলছেন তিনি। আর এটি নিয়েই সমালোচনা করেছে গাম্বিয়া।
সু চির উদ্দেশে গাম্বিয়ান আইনজীবী ফিলিপে স্যান্ডস বলেন, ‘ম্যাডাম এজেন্ট, আপনার নীরবতা উচ্চারিত শব্দের চেয়েও অনেক বেশি কথা বলছে। এক সময় ধর্ষণ নিয়ে খুব সরব ছিলেন। কিন্তু এখন এতো নীরব কেন?’
ফিলিপে স্যান্ডস আরও বলেন, ‘ম্যাডাম এজেন্টের মুখ থেকে ধর্ষণ শব্দটি একবারের জন্যের উচ্চারিত হয়নি। কারণ তিনি আদালতে চুপ করে বসে ছিলেন। এ সময় সু চির পড়নে ছিল বার্মিজ পোশাক ও খোঁপায় ছিল ফুল।’
এ দিন আরেক আইনজীবী পল রেইখলার বলেন, যেসব নবজাতককে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নদীতে ছুড়ে ফেলা হয়েছে তাদের মধ্যে কয়জন সন্ত্রাসী ছিল। গণহত্যাকে অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষ উল্লেখ করে চাপা দেওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিশাল সামরিক অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা ওই রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মূলত এই অভিযান নিয়েই ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।