দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংকটে বিশ্ব : জাতিসংঘ মহাসচিব
বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
করোনাভাইরাসের কারণে সম্ভাব্য আর্থসামাজিক প্রভাব নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশকালে জাতিসংঘের মহাসচিব আরো বলেন, ‘এটা মন্দা নিয়ে আসতে পারে। সাম্প্রতিক অতীতে যার কোনো তুলনা নেই।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গুতেরেস বলেন, ‘নতুন এই করোনাভাইরাসজনিত রোগ সমাজের একদম কেন্দ্রে আঘাত করছে। অনেক প্রাণহানি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে জীবন-জীবিকাও কেড়ে নিচ্ছে।’
‘জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কোভিড-১৯ নিয়ে আমরা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি,’ যোগ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
এ সময় জাতিসংঘপ্রধান ‘সংক্রমণ দমন ও মহামারি শেষ করার জন্য’ সারাবিশ্বের কাছে তাৎক্ষণিক সমন্বিত স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি শিল্পোন্নত দেশগুলোকে স্বল্প উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোকে, যেখানে করোনাভাইরাসের মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে সহায়তারও আহ্বান জানান গুতেরেস।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি মানুষ বেকার হয়ে যেতে পারে বা চাকরি হারাতে পারে।
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার পর্যন্ত বিশ্বে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ১৫১ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের আট লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ছয় লাখ ৩৮ হাজার ৪১৯ জন চিকিৎসাধীন এবং ৩২ হাজার ৮৯৮ জন (পাঁচ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই লাখ ২০ হাজার ২৫০ জনের মধ্যে এক লাখ ৭৮ হাজার ৯৯ জন (৮১ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৪২ হাজার ১৫১ জন (১৯ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।