দুটি ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত করা হয়েছিল ইউক্রেনের বিমান, জানাল ইরান
ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য দুটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গত ৮ জানুয়ারি ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত হয়েছে, এমনটা জানালো ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা-সিএও। ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ অভিমুখে উড্ডয়নের কিছু সময় পরে বিমানটি ‘টর-এমওয়ান’ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় বলে সিএও’র দ্বিতীয় তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের উত্তরাঞ্চল থেকে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সিরিজের বিমানটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। অন্তত ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ইউক্রেনের বিমানটি তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর বিধ্বস্ত হয়। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিমানটি তেহরান থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১২ মিনিটে উড্ডয়ন করে। ভূমি থেকে আট হাজার ১০০ ফুট উঁচুতে অবস্থানকালে এয়ার ট্রাফিক কন্টোলের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৬টার দিকে রাডার থেকে গায়েব হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটি একটি আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার পর একটি পাবলিক পার্কে আছড়ে পড়ে। এরপর একটি ফুটবল মাঠ, পার্শ্ববর্তী চাষের জমি ও উদ্যানের ওপর দিয়ে বিমানটি ঘষটে গিয়ে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে বিমানটি।
বিমানটির উড্ডয়নসংক্রান্ত তথ্য জমা রাখার রেকর্ডার এবং ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়। এসব যন্ত্রসামগ্রীকে ‘সর্বাধুনিক’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এসব রেকর্ডার থেকে তথ্য উদ্ধার করার মতো প্রযুক্তি ইরানের নেই বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দুর্ঘটনা তদন্তকারী সংস্থাগুলো।