দুই ব্রিটিশ রাজপুত্রের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ
দুই ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়ামের বিরুদ্ধে দাতব্য সংস্থার অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তাদের দাতব্য সংস্থাকে তদন্তের আওতায় নেওয়া হয়েছে। তবে প্রিন্স হ্যারির আইনজীবীরা বলছেন, এ ধরনের অভিযোগ খুবই আক্রমণাত্মক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর এক প্রতিবেদনে জানায়, অনুদানের ওই টাকা এসেছিল উইলিয়াম ও কেটের রয়াল ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে। প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মারকেলকে সাসেক্স রয়াল চ্যারিটি গঠন করতে দেওয়া হয়েছিল এ টাকা।
এ ছাড়া প্রিন্স হ্যারির ট্রাভেল সংস্থা ট্রাভেললিস্টকেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এ কোম্পানিটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং প্রিন্স হ্যারি এর ৭৫ শতাংশ অংশের মালিক।
এদিকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া একটি সংগঠন রিপাবলিক দাবি করছে, প্রিন্স হ্যারি ও উইলিয়ামের কারণেই সহজে অনুদান পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এবং অনুদানের অপব্যবহারও হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করা হলেও রিপাবলিকের নির্বাহী প্রধান গ্রাহাম স্মিথ চ্যারিটি কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলছেন, দাতব্য নয় এমন কোম্পানি ট্রাভেললিস্ট এ ধরনের অনুদান পেয়েছে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে এ ধরনের অনুদান ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রিপাবলিক দাবি করছে, উইলিয়াম ও কেটের রয়াল ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে হ্যারি ও মেগান সাসেক্স রয়াল গঠনের জন্য এক লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ড নিয়েছেন। এবং পরবর্তীতে একই ফাউন্ডেশন থেকে ট্রাভেললিস্ট প্রতিষ্ঠার জন্য এক লাখ ৫১ হাজার ৮৫৬ পাউন্ড নিয়েছেন।
রিপাবলিক দাবি করছে, রয়েল ফাউন্ডেশন প্রিন্স হ্যারির পোষা প্রকল্পগুলোতে প্রায় দুই লাখ নব্বই হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ৩০০ কোটি) ক্ষতি করেছে, হ্যারির নিজস্ব দাতব্য সংস্থা এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং মনে হয় যে তিনি দাতব্য অর্থের অর্থটি সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি, এটি দাতব্য আইনের লঙ্ঘন।
চ্যারিটি কমিশনের কাছে এখন প্রিন্স হ্যারি ও উইলিয়ামকে বিষয়টি নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। তাদের মুখপাত্র, বলেছেন এ ধরনের অনুদান ব্যবহারে বিধি ভঙ্গ যাতে না হয় সেজন্যে প্রিন্স হ্যারি ও উইলিয়াম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।