‘দাস ব্যবসায়ী’ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেফারসনের মূর্তি অপসারণ
দাস ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিউইয়র্ক সিটি হল থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের একটি মূর্তি অপসারণ করা হয়েছে। ১৮৩৩ সালের ভাস্কর্যটি এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের চেম্বারে ছিল। গত মাসে একটি ভোটের পর সম্প্রতি তা নামিয়ে নেওয়া হয়।
নিউইয়র্ক সিটি পাবলিক ডিজাইন কমিশন সাত ফুট ব্রোঞ্জের মূর্তিটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার পর মূর্তিটি অপসারণের জন্য নতুন করে আহ্বান জানানো হয়।
জেফারসন হলেন তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তিনি ‘দুই-ডলার বিল’-এর জন্য সমধিক পরিচিত। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণার প্রাথমিক লেখক ছিলেন। তিনি লিখেন ‘সব পুরুষকে সমানভাবে তৈরি করা হয়েছে’। কিন্তু তিনি ৬০০ জনেরও বেশি মানুষকে ক্রীতদাস করেন। তিনি স্যালি হেমিংস নামের এক নারীকে দাস বানিয়েছিলেন এবং ওই নারীর গর্ভে তাঁর কমপক্ষে ছয়টি সন্তানের জন্ম হয়।
কাউন্সিলের ব্ল্যাক, লাতিন ও এশিয়ান ককাসের কো-চেয়ার অ্যাড্রিয়েন অ্যাডামস গত মাসে কমিশনকে বলেছিলেন, ‘জেফারসন আমাদের দেশের দীর্ঘ এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক কিছু অংশকে মূর্ত করেছেন। আমাদের শহরের এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। তার (থমাস জেফারসন) মূর্তিটি ১৯১৫ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের সিটি হলে প্রদর্শিত হয়ে আসছে। এটি পিয়েরে-জিন ডেভিড ডি’আঙ্গার্সের একটি ব্রোঞ্জের টুকরোর রেপ্লিকা। এটি ইউএস ক্যাপিটলে অবস্থিত। এখন এটি নিউইয়র্ক হিস্টোরিক্যাল সোসাইটিতে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে এটি দীর্ঘমেয়াদে থাকবে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনুরূপ স্মৃতিস্তম্ভগুলো বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। ওরেগন ও জর্জিয়াসহ আরো কিছু স্থানে জেফারসনের মূর্তি এর মধ্যেই অপসারণ বা ধ্বংস করা হয়েছে। গৃহযুদ্ধের কনফেডারেট নেতাদের মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়েছে।