দলত্যাগীরা ফিরে এলে স্বাগত : মমতা
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক নেতা। ভোটের ফলাফলে অধিকাংশ নেতাকেই শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে।
তবে দলত্যাগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তাও আবার নন্দীগ্রামে মমতার সঙ্গে ভোটে লড়াই করে।
বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরও দলত্যাগীদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরতে চাইলে সবাইকেই দলে স্বাগত জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল রোববার ভোটের ফলাফল গণনা শুরু হয়। এতে তৃণমূলের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন যেসব হেভিওয়েট নেতারা, তাদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং নিশীথ প্রামাণিককে বাদ দিলে কেউই জয়ী হতে পারেননি। বড় ব্যবধানে হেরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত ও বৈশালী ডালমিয়ারা। ভোটে বিজেপির পরাজয়ের পর তাই তাদের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। সেখানে দলত্যাগীদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, ‘আসুক না। কে বারণ করেছে! এলে স্বাগত।’
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া কেউ এখনো জোড়াফুলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। তবে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা এসেছিলেন, তারা অত্যাচারিত এবং অপমানিত হয়ে এসেছিলেন। মনে হয় না তাদের কেউ ফিরে যাবেন।’
এবারের বিধানসভার ভোটের ফলাফলে ২১৩ আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতের নির্বাচন কমিশন সোমবার সকালে সর্বশেষ এ তথ্য দিয়েছে। নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হয়েছে ৭৭ আসনে। কংগ্রেস-বাম দল ও আইএসএফের গড়া সংযুক্ত মোর্চা পেয়েছে মাত্র একটি আসন। আরেকটি আসন পেয়েছে অন্যরা। এ রাজ্যে ২০১১ ও ২০১৬ সালেও জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।