দক্ষিণ কোরিয়ায় আজ সোমবার করোনাভাইরাসে আরো প্রায় ৫০০ জনের আক্রান্তের কথা জানা গেছে। এতে করে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (কেসিডিসি) জানিয়েছে, দেশটিতে আরো চারজনের মৃত্যুতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ জন। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।

চীনের বাইরে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া দেশটির অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে। বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির সতর্কতা দিয়েছে। এই ভাইরাস সংক্রমণে বেশ কিছু অনুষ্ঠান বাতিল ও স্থগিত করায় দেশটির আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য  বাধাপ্রাপ্ত হবে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু নগরীতে ৬১ বছরের এক নারী প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম নগরী দেগুর মোট জনসংখ্যা ২৫ লাখ।

কেসিডিসি আজ সোমবার ৪৭৬ নতুন আক্রান্তের কথা জানায়। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো চার হাজার ১১২ জন। আক্রান্তদের শতকরা ৯০ ভাগ দেগু ও প্রতিবেশী উত্তর জিয়াংইয়াং প্রদেশের বাসিন্দা।

চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯১২ জনে। এর মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা ১২৯ জনে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে মোট তিন হাজার ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে চীনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০২ জন। বরাবরের মতোই দেশটির হুবেই প্রদেশে আক্রান্তে সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রদেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৩ জন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।