তারিখ ৯/১১ : ৯টা ১১ মিনিটে শিশুর জন্ম, ওজন ৯ পাউন্ড ১১ আউন্স!
ভূমিষ্ঠ হয়েই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ক্রিস্টিনা ব্রাউন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম হয় এ শিশুর। ক্রিস্টিনার জন্মের সে ঘটনাকে নিতান্তই কাকতালীয় বললে আসলে কিছুই বলা হয় না; এমনকি আশ্চর্য বললেও কম বলা হবে। গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ নাইন-ইলেভেন হামলার বার্ষিকীর দিনে জন্ম নেওয়ার পর নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ক্রিস্টিনা। তবে ক্রিস্টিনার ভাইরাল হওয়ার কারণটা কেবল বিশেষ দিনে জন্ম বলে নয়। তাহলে আর কী ছিল কারণ? চলুন, জানা যাক।
ক্রিস্টিনার জন্ম হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বা নাইন-ইলেভেন বার্ষিকীর রাত ৯টা ১১ মিনিটে। এখানেই শেষ নয়। জন্মের সময় ক্রিস্টিনার ওজন ছিল ৯ পাউন্ড ১১ আউন্স।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের জার্মানটাউন শহরের মেথডিস্ট লিবনহুর হাসপাতালে জন্ম নেয় ক্রিস্টিনা ব্রাউন।
ক্রিস্টিনার জন্মের পর তার মা ক্যামেট্রিয়ন মুর-ব্রাউন বলেছিলেন, ‘ধ্বংস ও মৃত্যুর ভয়াবহতার স্মৃতি বহনকারী দিনে ক্রিস্টিনার আগমন এক নতুনের বার্তা।’
ক্রিস্টিনার ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় এবং ওই সময় তার ওজন নথিভুক্ত করতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা অবাক হয়ে যান।
ক্রিস্টিনার বাবা জাস্টিন ব্রাউনের কথায়, ‘আমরা শুনলাম, সিজারের পর শিশুর জন্মসময় চিকিৎসক ঘোষণা করলেন রাত ৯টা ১১ মিনিট। এরপর বাচ্চার ওজন মেপে দেখা গেল ৯ পাউন্ড ১১ আউন্স। সবার কণ্ঠ দিয়ে বিস্ময়ের শব্দ বেরিয়ে এলো। নাইন-ইলেভেনে ৯ পাউন্ড ১১ আউন্সের ক্রিস্টিনা জন্মাল ৯টা ১১ মিনিটে!’
এ ধরনের কাকতালীয় মিল খুবই বিরল উল্লেখ করে হাসপাতালের নারীস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান র্যাচেল লকলিন সেদিন বলেছিলেন, ‘দেশের দুঃখের এই দিনটিতে এমন জন্ম দারুণ উত্তেজনাকর।’
র্যাচেল লকলিন আরো বলেন, ‘আমি নারীস্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করছি ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে। কোনো বাচ্চার জন্মতারিখ, জন্মসময় এবং জন্মের ওজনে এমন মিল আগে কখনো দেখিনি।’
ক্রিস্টিনার মা-বাবা বলেন, ক্রিস্টিনা যখন বড় হবে, তখন তাঁরা তাকে নাইন-ইলেভেনের তাৎপর্য জানাবেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কয়েকজন কথিত কট্টর ইসলামপন্থী দুটি যাত্রীবাহী প্লেন অপহরণ করে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে প্লেনসহ আঘাত করেছিল।
টুইন টাওয়ারে হামলার ৫০ মিনিট না যেতেই আরেকটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল ওয়াশিংটনে পেন্টাগনের সদর দপ্তরের ওপর। অপহৃত চতুর্থ প্লেনটি বিধ্বস্ত হয় ওয়াশিংটনের কাছে একটি মাঠে।
যুক্তরাষ্ট্রে ওই সন্ত্রাসী হামলা ছিল নজিরবিহীন। প্রায় তিন হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছিল সেদিন। আহত হয়েছিল আরো কয়েক হাজার। হতভম্ব হয়ে পড়েছিল সারা বিশ্ব।