ঢেলে সাজাবেন বরিস, দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ মুসলিমরা!
মন্ত্রিদের বরখাস্ত, মন্ত্রণালয় একীভূতকরণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের পদে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের বসানোসহ নানাবিধ কড়া উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক বিশেষ প্রতিবেদনে এসব জানিয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র সানডে টাইমস।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক শীর্ষ ব্যক্তির সূত্রে পত্রিকাটি জানায়, বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের পর এবারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর পর তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদেও নতুন মুখ আনতে পারেন তিনি। এ ছাড়া নতুন বছরের ৩১ জানুয়ারি বেক্সিট মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করা হতে পারে। বরিসের ওয়াদা মতে, এদিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাবে যুক্তরাজ্য। সীমান্ত ও অভিবাসন বিভাগকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করা হতে পারে। একীভূত করা হতে পারে ট্রেড মিনিস্ট্রি ও বিজনেস বিভাগকে।
এদিকে মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগে অভিযুক্ত রক্ষণশীল নেতা বরিস জনসনের বিপুল জয়ের পর মুসলিমরা ভীতিকর অবস্থায় পড়েছে বলে জানিয়েছে ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র মেট্রো। এখন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাকবেন তিনি। পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণের একটি রিপোর্টে বলা হয়, ব্রিটিশ মুসলিমরা দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ম্যানচেস্টারের একটি স্বনামধন্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান মনজুর আলী নিজের সন্তানদের ভবিষ্যতের দিনগুলোর কথা ভেবে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন।
ইসলাম বিদ্বেষী ও বর্ণবাদী বক্তব্য দিয়ে বহুবার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন বরিস জনসন। মুসলিম নারীদের চিঠির বাক্স ও ব্যাংক ডাকাতদের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। এ ছাড়া ২০০৫ সালে তিনি মুসলিমদের আবর্জনার সঙ্গে তুলনা করেন।
নিজের চিকিৎসক ভাগনি দেশে থাকবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন জানিয়ে ব্রিটিশ মুসলিম মনজুর আলী বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভেবে চিন্তিত। আমার সন্তানদের ভবিষ্যতের দিনগুলো নিয়ে চিন্তিত।’
অপরদিকে সানডে টাইমস জানায়, খুব শিগগির কিছু জরুরি পরিবর্তনের পর মূলত ব্রেক্সিট সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে বড় পরিবর্তনগুলোতে হাত দেবেন কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসন।
ওই শীর্ষ ব্যক্তি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির রদবদল বেশ বড়সড় হবে। এমন লোকজন দায়িত্ব নেবেন যারা মিডিয়া এবং ক্ষণিকের বিষয়াশয় নিয়ে চিন্তিত হবে না। বিস্তারিত পরিকল্পনার পর আমরা সব ঢেলে সাজাব।’
তবে গতকাল রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ নিয়ে বরিস জনসনের একজন মুখপাত্র এবং ডেপুটি অর্থ প্রতিমন্ত্রী রিসি সুনাকের কিট জানতে চাইলে তাঁরা এ মুহূর্তে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।