ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা : ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ অব্যাহত
পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে প্রস্তাব করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ জন্য ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে হবে ফিলিস্তিনকে।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণাকালে এই প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বেশ কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তবে মার্কিন-ইসরায়েলি কথিত শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। গাজার সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ হিসেবে ধর্মঘট পালন করছে।
তারা নিজেদের ঘরবাড়ি ও অফিস-আদালতে কালো পতাকা উড়িয়েছে। সর্বত্রই শোকের আবহ বিরাজ করছে। এটাকে তারা বেলফোর ঘোষণার সঙ্গে তুলনা করছে।
ফিলিস্তিনিরা বলছে, ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস আর্থার বেলফোর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদিবাদীদের জন্য কথিত আবাসভূমি বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ঘোষণা দিয়ে যে ক্ষতি করেছিলেন, একবিংশ শতাব্দিতে এসে ট্রাম্প ঠিক সে ধরনের আরেকটি ক্ষতি করলেন।
ইরানি বার্তা সংস্থা পার্সটুডে জানিয়েছে, পশ্চিম তীর থেকেও একই ধরনের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনিরা ধর্মঘট ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আমেরিকা ও ইসরায়েলকে এই বার্তা দিয়েছেন যে, তারা কোনোভাবেই এই ‘ষড়যন্ত্র’ মেনে নেবেন না। যেকোনো উপায়ে তা মোকাবিলা করা হবে।