চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের জিচ্যাং শহরে বনভূমিতে লাগা দাবানলে পুড়ে ১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার এক খবরে জানানো হয়েছে।

আগুন নেভাতে এবং আশপাশের বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সরকারি গণমাধ্যম স্থানীয় এক তথ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, নিহতদের মধ্যে একজন গাইড এবং বাকিরা অগ্নি নির্বাপনকর্মী। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

সিচুয়ান প্রদেশের তথ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই বনে কখন আগুন লেগেছে তা ঠিকঠাক জানা যায়নি । তবে গতকাল সোমবার বিকেলে স্থানীয় একটি খামারে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে জানা যায়, যা পরে বাতাসের কারণে দ্রুত নিকটবর্তী পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

আশপাশের বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে জরুরিভিত্তিতে ৩০০ জনেরও বেশি পেশাদার অগ্নি নির্বাপণকর্মী এবং তাঁদের সহায়তা করার জন্য ৭০০ মিলিশিয়াকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, সিচুয়ানের পাশের অন্যান্য শহর থেকে আরো ৮৮৫ জন অগ্নি নির্বাপণকর্মী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ১৪২টি অগ্নি নির্বাপণ ইঞ্জিন, ছয়টি দূরবর্তী পানি সরবরাহ গাড়ি এবং প্রচুর অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা। সেইসঙ্গে, আগুনের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে ড্রোনও ব্যবহার করা হবে।

বছরখানেক আগে সিচুয়ান প্রদেশের ওই এলাকায় বনে লাগা দাবানল নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩০ কর্মী নিহত হয়েছিলেন। যা ২০১৫ সালে তিয়ানজিন বন্দরে রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণে ১৭৩ জন নিহতের পর চীনের অগ্নি নির্বাপণ বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণহানির ঘটনা।

অনেক দেশের মতো, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থল ধ্বংস এবং বনাঞ্চলগুলোতে মানুষের দখলদারত্ব বাড়ার ফলে চীনের বনেও সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন প্রাণঘাতী দাবানলের ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।